অধিকার ডেস্ক ১৬ ডিসেম্বর ২০১৮, ২১:০৫
ভারতের জম্মু-কাশ্মিরের যৌথ প্রতিরোধ নেতৃত্বের ডাকা বনধের ফলে উপত্যকাজুড়ে জনজীবন সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। রবিবার (১৬ ডিসেম্বর) বনধকে কেন্দ্র করে দক্ষিণ কাশ্মিরের পুলওয়ামা জেলার ছয়টি থানা এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) পুলওয়ামার সিরনো এলাকায় গেরিলা ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ এবং পরবর্তী সংঘর্ষে ১১ জন নিহত হয়। নিহতদের মধ্যে সাত বেসামরিক ব্যক্তি, তিন গেরিলা ও এক সেনা সদস্য রয়েছে।
ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে বেসামরিক মানুষ ও গেরিলা সদস্যরা নিহত হওয়ার প্রতিবাদে হুররিয়াত কনফারেন্সের একাংশের চেয়ারম্যান সাইয়্যেদ আলী শাহ গিলানী, মীরওয়াইজ ওমর ফারুক ও মুহাম্মদ ইয়াসীন মালিকের সমন্বিত যৌথ প্রতিরোধ নেতৃত্ব শনিবার থেকে তিন দিনের বনধের ডাক দেয়।
'আমরা ওই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। কাশ্মিরে এ পর্যন্ত যত সংঘর্ষ-হত্যা হয়েছে, ভুয়া সংঘর্ষ-হত্যা হয়েছে সমস্ত ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি জানাচ্ছে বন্দি মুক্তি কমিটি।' বলে জানান দেশটির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের 'বন্দি মুক্তি কমিটি'র সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ভানু সরকার
এদিকে বনধকে কেন্দ্র করে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে নৌহাট্টা, খানইয়ার, রায়নাওয়াড়ি, সাফাকদল, এম আর গঞ্জ ও মৈসুমা থানা এলাকায় নিষেধজ্ঞা জারি করা হয়। নিরাপত্তাজনিত কারণে কাশ্মির উপত্যকায় ট্রেন চলাচলও বন্ধ রাখা হয়। বনধের ফলে দোকানপাট, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল। সড়কে কোনও যান চলাচল করেনি। ৭ বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হওয়ার প্রতিবাদে কাশ্মিরের রাজবাগ থেকে আওয়ামি ইত্তেহাদ পার্টির নেতা ইঞ্জিনিয়ার রশিদের নেতৃত্বে সোনাওয়ারে জাতিসঙ্ঘের দফতরের দিকে একটি প্রতিবাদ মিছিল যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়।
বিক্ষোভকারীরা নিরীহ মানুষকে হত্যা বন্ধসহ বিভিন্ন দাবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড বহন করেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মিছিলটি থামিয়ে দেয় এবং ইঞ্জিনিয়ার রশিদসহ অন্য কর্মীদের আটক করে রাজবাগ থানায় নিয়ে যায়।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড