• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৯ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

সিরিয়ায় পুনর্বাসনের নামে চলছে অর্থ আত্মসাৎ

  অধিকার ডেস্ক

২৭ মে ২০১৮, ১৩:৩০
ছবি : সংগ্রহীত

সিরীয় শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়া দেশগুলোও আশঙ্কায় রয়েছে যে, সিরিয়ায় পুনর্বাসনের নামে সম্পত্তি লুটপাট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সিরীয় যুদ্ধে বিধ্বস্ত এলাকার অবকাঠামো পুনরায় গড়ে তোলা হবে শুনে ওই সব স্থান থেকে বিদেশে শরণার্থী হওয়া সিরীয় নাগরিকরা চিন্তিত হয়ে পড়েছেন।

সংশ্লিষ্টদের আশঙ্কার কথা জানিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স লিখেছে, নতুনভাবে অবকাঠামো নির্মাণের নামে সিরীয় সরকার তাদের সম্পত্তি নিয়ে নিতে পারে। অন্যদিকে আশ্রয়দাতা দেশগুলো ভাবছে, সিরিয়ায় থাকা সম্পত্তি যদি না থাকে তাহলে শরণার্থীদের দেশে ফেরানোর সম্ভাবনা প্রায় শূন্য হয়ে যাবে।

কিন্তু সাহায্য সংস্থাগুলো বলছে, এই যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে খুব কম মানুষই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিজেদের মালিকানা স্বত্ব প্রমাণ করতে পারবেন। স্বাভাবিকভাবেই ভিন্ন দেশের শরণার্থী শিবিরে থাকা সিরীয়দের সামনে এখন বড় একটি সমস্যা এসে দাঁড়িয়েছে- তারা কি সিরিয়ায় ফেরত যাবেন ক্ষতিপূরণ পাওয়ার জন্য, নাকি শরণার্থী শিবিরেই থেকে যাবেন।

দামেস্কর কাছে থাকা বিদ্রোহীদের ঘাঁটি উচ্ছেদ করার পর পুরো পশ্চিম সিরিয়া আসাদ বাহিনীর দখলে চলে যায়। এরপরই ‘ল টেন’ নামের একটি আইন কার্যকরের কথা ঘোষণা করা হয়। ওই আইনে বলা হয়, পুনর্গঠনের কাজ করা হবে এমন এলাকাগুলোতে থাকা সম্পত্তির মালিকানা প্রমাণ করতে পারলে ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে।

সম্পত্তি হাতছাড়া হয়ে গেলে তাদের সিরিয়ায় ফেরত যাওয়ার আর কোনো বিশেষ আগ্রহ থাকবে না। সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়নের উচ্চপর্যায়ের এক বৈঠকে বলা হয়, ‘যদি বিদ্রোহী অধ্যুষিত এলাকায় আইনটি বলবৎ হয়, তাহলে ওই এলাকাগুলো ছেড়ে যারা শরণার্থী হয়েছে তারা আর সিরিয়ায় ফিরে যাবে না।

তবে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাসার আল আসাদ এর বিরোধিতা করেছেন। তার ভাষ্য, আইনটির অপব্যাখ্যা করা হচ্ছে, যাতে করে পশ্চিমা দেশগুলোতে থাকা সিরীয়দের সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তোলা যায়।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড