• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৬ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

ইথিওপিয়ায় জাতিগত দাঙ্গায় ২১ জন নিহত, আহত ৬১

  অধিকার ডেস্ক    ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৭:৫৮

ছবি : সংগৃহীত

'হর্নস অফ আফ্রিকা' খ্যাত ইথিওপিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে জাতিগত সহিংসতায় অন্তত ২১ জন নিহত ও ৬১ জন আহত হয়। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা শনিবার জানায়, এলাকাটিতে জাতিগত দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়লে শত শত লোককে সীমান্ত অতিক্রম করে কেনিয়া পালিয়ে যায়। 'রয়টার্স'

চলতি বছর মার্চে আধুনিক ইথিওপিয়াতে ওরোমো জাতিগোষ্ঠির নেতা আবি আহমেদ প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হয়ে কাজ শুরু করার পর থেকেই দেশটিতে জাতিগত সহিংসতা বৃদ্ধি পেতে থাকে।

ছবি : সংগৃহীত

সোমালিয়ার আঞ্চলিক রাজ্যের উপমুখপাত্র সুরাও মোহাম্মেদের বরাত দিতে রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা জানায়, বৃহস্পতি ও শুক্রবার কেনিয়া সীমান্তবর্তী মোয়ালে শহরে সোমালিস এবং ওরোমোস জাতির মধ্যে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। অনেক বাস্তুচ্যুত মানুষ কেনিয়াতে পালিয়ে যায় যখন তারা ইথিওপিয়াতে থাকলে মানবিক সহায়তা পেত।

দল দুইটি দীর্ঘদিন ধরে সংঘর্ষে লিপ্ত রয়েছে যা সাম্প্রতিক মাসগুলোতে তীব্রতর হয়েছে। দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের জঙ্গিদের লক্ষ্য করে সামরিক বাহিনীর অপারেশন পরিচালনা করলে অনেক বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়, যাকে ইথিওপিয়ান সামরিক বাহিনী বিশৃঙ্খলার বিরুদ্ধে অপারেশন বলেছিল। এরপরেই চলতি বছরের গোড়ার দিকে অন্তত ৫ হাজার ইথিওপিইয়ান কেনিয়ায় আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছিল।

ছবি : সংগৃহীত

কেনিয়ার মধ্যবর্তী মোয়ালের মানবাধিকার কর্মী ওয়ারিও সোরা বলেছে, 'ওরোমো ও সোমালি গারে যোদ্ধাদের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হলে মানুষকে হত্যা করা হয়, ব্যবসা প্রাঙ্গণে বোমা হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা হয় এবং বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়া হয়।'

মোয়ালের উপপরিচালক প্যাট্রিক মুমালী শুক্রবারের শেষ দিকে নিশ্চিত করেছেন যে, শত শত ইথিওপিয়ান সীমান্ত অতিক্রম করে কেনিয়াতে আশ্রয় নিয়েছে।

ছবি : সংগৃহীত

১৩ ডিসেম্বর তারিখে জাতিসংঘের প্রকাশিত একটি অভ্যন্তরীণ রিপোর্ট যা 'রয়টার্স' কর্তৃক পর্যালোচনা করা হয়েছে সেখানে যুদ্ধের ব্যাপারে নিশ্চিত হয়। সেই যুদ্ধে ভারী অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহারের ও প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে এবং আশঙ্কা করা হয় যে, এই সঙ্ঘর্ষ পার্শ্ববর্তী কেনিয়াতে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

ইথিওপিয়ার রাজধানীর একটি সূত্র জানিয়েছে, যুদ্ধে এ পর্যন্ত প্রায় কয়েক ডজন মানুষ মারা গেছে, যা আগের বছরের একই অঞ্চলে সংঘর্ষের চেয়ে আরও বেশি ভয়াবহ ছিল।

ছবি : সংগৃহীত

ওরোমিয় অঞ্চল, দেশের বৃহত্তম রাজ্য এবং এখানে দেশটির সবচেয়ে বড় জাতিগোষ্ঠী ওরোমোদের আবাস। সীমান্ত বিরোধের সাথে অন্তত চারটি পৃথক দ্বন্দ্ব রয়েছে, যা নতুন সহিংসতার ঝুঁকিগুলো আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড