অধিকার ডেস্ক ১৪ ডিসেম্বর ২০১৮, ১১:৫৮
বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকায় লড়াই করেছিলেন মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী। আজ সময়ের ব্যবধানে তাকেই থাকতে হচ্ছে বিতর্কের শীর্ষে। আর এরই ফলস্বরূপ সেই আফ্রিকাতেই সরিয়ে ফেলা হলো তার স্থাপিত মূর্তি।
বিতর্ক এতটাই উত্তপ্ত রূপ নিয়েছিল যে, শেষ পর্যন্ত ঘানার রাজধানী আক্রাতে ঘানা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে সরিয়ে দেওয়া হলো তার মূর্তি। দুই বছর আগে ২০১৬ সালে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় উন্মোচন করেছিলেন মূর্তিটির আবরণ।
এর পরপরই শুরু হয় বিতর্কের। সেপ্টেম্বরে শুরু হয়েছিল 'গান্ধী মাস্ট ফল' আন্দোলন। আর এ আন্দোলনের পুরোভাগে ছিলেন অধ্যাপক ও ছাত্ররা। তাদের প্রতিবাদের কথায় বলা হচ্ছিল, গান্ধী দক্ষিণ আফ্রিকায় ভারতীয়দের অধিকার নিয়ে লড়েছিলেন ঠিকই, কিন্তু তাঁর লেখালেখিতেই ফুটে উঠেছিল জাতিবিদ্বেষের ভাবনা।
তাঁর লেখায় ছিল, ভারতীয়রা কালো আফ্রিকানদের থেকে 'অনেক অনেক বেশি উচ্চস্তরে' রয়েছে। এ লেখায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের দাবি ছিল, গান্ধী জাতি ব্যবস্থার সমর্থক ছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের খবর প্রকাশের সময় মূর্তি সরানোর কথা প্রকাশ করেছে 'রেডিও ইউনিভার্স'।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা জানান, মঙ্গলবার রাতেই মূর্তিটি সরিয়ে ফেলা হয়। বেঞ্জামিন মেনসা নামে এক ছাত্র বলে, 'গান্ধীর মূর্তি সরানো ঘানার মানুষের জন্য বিরাট জয়। বারবার এটি মনে করিয়ে দিচ্ছিল, আমরা কত নিচু স্তরে রয়েছি।'
'মূর্তিটি আরও আগেই সরানো উচিত ছিল। কূটনীতির সঙ্গে এর কোনও যোগ নেই।' এমন মন্তব্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক ছাত্রীর।
মূর্তি সরানোর কাজ যে কর্মীরা করেছেন তারা বলেন, এ কাজ করার জন্য তাদের কাছে উপরের নির্দেশ ছিল। তবে মূর্তি সরানোর বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি।
এদিকে ঘানার বিদেশ মন্ত্রণালয়ের এক ব্যক্তি জানান, মূর্তি সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড