২০১৯ থেকেই সৌদির ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রতিশ্রুতি মার্কিন সিনেটরদের

সৌদি আরবের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডের ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দিকে আঙুল তুলেছে, খোদ মার্কিন কংগ্রেসে ট্রাম্পের সৌদিপ্রীতি নিয়ে বিতর্ক উঠে। ইয়েমেনে বিমান হামলা ও সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সৌদি আরবের নিন্দা জানিয়ে বৃহস্পতিবার একটি প্রস্তাবের ওপর মার্কিন সিনেটে ভোট হতে যাচ্ছে।

দক্ষিণ ক্যারোলাইনার রিপাবলিকান সিনেটর সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম বলেছেন, আমার দৃষ্টিভঙ্গি বলছে-সৌদি আরবের বর্তমান কাঠামো কোনো কাজ করছে না। বিভিন্ন দেশ ও ব্যক্তির মধ্যে এখানে একটি সম্পর্ক রয়েছে। ব্যক্তি হিসেবে সৌদি যুবরাজ খুবই বিষাক্ত, ত্রুটিপূর্ণ ও কলঙ্কিত। সৌদি আরবের কোনো পরিবর্তন না এলে ভবিষ্যতে সৌদি আরবের সঙ্গে আমি কোনো কাজে জড়াতে পারব না বলে মন্তব্য করেন এ মার্কিন সিনেটর।

লিন্ডসে গ্রাহাম আরও বলেন, সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম বলেছেন, আমার দৃষ্টিভঙ্গি বলছে-সৌদি আরবের বর্তমান কাঠামো কোনো কাজ করছে না। বিভিন্ন দেশ ও ব্যক্তির মধ্যে এখানে একটি সম্পর্ক রয়েছে। ব্যক্তি হিসেবে সৌদি যুবরাজ খুবই বিষাক্ত, ত্রুটিপূর্ণ ও কলঙ্কিত।

নিউজার্সির ডেমোক্র্যাট সিনেটর বব মেনেনডেজ বুধবার বলেন, আগামী বছর নতুন কংগ্রেস শুরু হলে সৌদি আরবের ওপর অর্থনৈতিক শাস্তি ও দেশটিতে অস্ত্র বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা আনতে আগাম আইনপ্রণয়নের পরিকল্পনা করেছে এই গ্রুপটি।

কিন্তু এ পর্যন্ত তাদের কাছ থেকে আসা সবচেয়ে কঠোর মন্তব্য হল-সিনেটররা আভাস দিয়েছেন, তারা দেখতে চান যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে।

'আমাদের সৌদি বন্ধুদের বলছি-এ ক্ষেত্রে কোনো পরিবর্তন আনতে না পারলে মার্কিন সিনেটের সঙ্গে আপনারা কোনো সম্পর্ক রাখতে পারবেন না। কী ধরনের পরিবর্তন আনা দরকার, তা আপনাদের খুঁজে বের করতে হবে।' বলে যুক্ত করেন লিন্ডসে গ্রাহাম।

মার্কিন কংগ্রেসের সদস্যরা বলেন, গত ২ অক্টোবরে সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান জড়িত, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এমন তথ্যই দিয়েছে। ২০১৫ সাল থেকে প্রতিবেশী ইয়েমেনে সৌদি জোটের বিমান হামলার নেতৃত্ব দিচ্ছে যুবরাজ। বিভিন্ন দেশে সামরিক বাহিনী ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতার লাগাম টানতে প্রথমবারের মতো একটি প্রস্তাবের ওপর ভোট হয়েছে মার্কিন সিনেটে।

যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেনে সৌদি নেতৃত্বাধীন বিমান হামলায় মার্কিন সমর্থন বন্ধে একটি প্রস্তাবের ওপর বিতর্ক আহ্বানে আইনপ্রণেতারা ভোট দিয়েছেন। এতে পক্ষে ৬০টি ও বিপক্ষে ৩৯টি ভোট পড়েছে। ইয়েমেন যুদ্ধে হাজার হাজার লোকের মৃত্যু হয়েছে। জাতিসংঘের ভাষায়-যেটি বিশ্বের সবচেয়ে কঠিন মানবিক বিপর্যয়।

ডেমোক্র্যাট সিনেটর বব মেনেনডেজ বলেন, আমাদের প্রস্তাবে সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক শেষ করতে বলা হয়নি। আমরা বলছি-সৌদি আরবকে একটি পরিবর্তন আনতে হবে।