• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

৯/১১’র পরে যুদ্ধের নামে ৫ লক্ষাধিক মানুষ হত্যা করেছে আমেরিকা!

‘যুদ্ধ কেবল বাড়ছে আর তা সবার চোখে অস্পষ্টই থেকে যাচ্ছে’

  অধিকার ডেস্ক    ০৯ নভেম্বর ২০১৮, ২০:৪৩

মার্কিন আগ্রাসন
সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে প্রাণ হারায় ৫ লাখ, তবুও বেড়েই চলছে যুদ্ধের ভয়াবহতা, সন্ত্রাসী আদতে কারা? ছবি : সংগৃহীত

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাতে ৯/১১ ঘটনার পরে পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং ইরাকে সন্ত্রাসবাদ বিরোধীযুদ্ধের নামে গত ১৭ বছরে পাঁচ লক্ষাধিক মানুষ নিহত হয়েছে। ২০০১ সালের যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারে (১/১১) হামলার পর থেকে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে শুর হওয়া যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধে ৪ লাখ ৮০ হাজার থেকে ৫ লাখ ৭ হাজার মানুষ নিহত হয়। ‘আল-জাজিরা’

নতুন এক গবেষণায় দেখা যায়, ২০১১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর টুইন টাওয়ারের রহস্যজনক হামলায় বিশ্বব্যাপী ‘ওয়ার অন টেরর’ এর নামে ইসলামিক দেশগুলোর বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে। প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ থেকে শুরু করে ট্রাম্পের শাসনামল পর্যন্ত ১৭ বছর এই যুদ্ধে প্রাণ হারায় এই বিপুল সংখ্যক মানুষ।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্রাউন ইউনিভার্সিটির ওয়াটসন ইন্সটিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল এন্ড পাবলিক অ্যাফেয়ার্সের সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। তাদের হিসাব মতে মার্কিন সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে ২০০১ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত ৪ লাখ ৮০ হাজার থেকে ৫ লাখ ৭ হাজারের মতো মানুষ নিহত হয়েছেন। এই নিহতদের মধ্যে বেসামরিক, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য,স্থানীয় পুলিশ, নিরাপত্তা বাহিনী এমনকি যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রজোটের সংখ্যাও অন্তর্ভুক্ত।

ইরাকে মার্কিন আগ্রাসন। ছবি : সিএনএন

১ লাখ ৮২ হাজার ২৭২ থেকে ২ লাখ ৪ হাজার ৫৭৫ জন ইরাকে, ৩৮ হাজার ৪৮০ জন আফগানিস্তানে এবং ২৩ হাজার ৩৭২ জন পাকিস্তানে বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়। একই সময়ে প্রায় ৭ হাজার মার্কিন সেনা ইরাক ও আফগানিস্তানে প্রাণ হারায়।

যথাযথ প্রতিবেদন সীমাবদ্ধতার কারনে অনেক নিহতের সংখ্যা সঠিক ভাবে গণনা করা সম্ভব হয়নি। এছাড়া অনেক হামলা আকস্মিক হওয়ায় এর সঠিক সংখ্যাটাও জানা যায়নি। সেগুলোর সঠিক হিসাব পেলে এ সংখ্যা হয়তো আরও বাড়তে পারতো।

গবেষক ও লেখক নিরা ক্রফর্ড তার ‘হিউমান কস্ট অব দ্য পোস্ট ৯/১১ ওয়ার্স: লেথালিটি এন্ড দ্য নিড ফর ট্রান্সপারেন্সি’ নামক একটি প্রতিবেদনে জানায়, ‘এই যুদ্ধে সরাসারি কতজন মানুষ নিহত হয়েছে সেটা আমরা নির্দিষ্ট করে বানতে পারিনি। তবে উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, এই যুদ্ধে ইসলামিক স্টেট (আইএস) এর হামলায় ইরাকের মসুল শহরেই কয়েক লাখ মানুষ নিহত হয়েছেন। কিন্তু তাদের মরদেহের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।’

যুদ্ধের তীব্রতা বেড়েই চলছে

যুদ্ধের ফল হিসেবে পরোক্ষভাবে বেসামরিকরা নিহত হচ্ছে, যাদের মধ্যে অনেকেই অবকাঠামো ধ্বংসের ফলে এবং রোগে ও দুর্ভিক্ষের প্রভাবে মরেই চলছে যা ওই প্রতিবেদনে সংযুক্ত করা যায়নি বলে লেখক জানান।

আফগানিস্তানে মার্কিন আগ্রাসন। ছবি : সিএনএন

ব্রাউন ইউনিভার্সিটির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, নতুন এই প্রতিবেদনে দুই বছর আগে অর্থাৎ ২০১৬ সালের আগস্টের করা হিসেবের তুলনায় নিহতের সংখ্যা বেড়েছে ১ লাখ ১০ হাজারেরও বেশি।

‘যদিও আমেরিকান জনসাধারণ, গণমাধ্যম এবং আইন প্রণেতার দ্বারা নামমাত্র এই সন্ত্রাস-বিরোধি যুদ্ধের মরাদেহ গণনা করার পরে এই যুদ্ধের সমাপ্তির থেকে বৃদ্ধির ইঙ্গিত প্রায়শই উপেক্ষা করা হয়।’

উদাহরণস্বরূপ, আফগানিস্তানে ১৭ বছর ধরে চলা মার্কিন যুদ্ধে সম্প্রতি হতাহতের সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বেড়েই চলেছে। দেশটিতে গত কয়েক বছরের মধ্যে ২০১৮ সালে সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষ নিহত হয়েছেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড