• বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১  |   ৩৪ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু প্রিগোঝিনের, দাবি রুশ সংবাদমাধ্যমে

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২৪ আগস্ট ২০২৩, ১৪:৩২
ইয়েভজেনি প্রিগোঝিন

বুধবার একটি রুশ টেলিগ্রাম চ্যানেলে প্রচারিত একটি খবরে দাবি করা হয় ওয়াগনার বাহিনীর সেই বিতর্কিত প্রধান অলিগার্চ ইয়েভজেনি প্রিগোঝিন বিমান দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন। বুধবার মস্কো থেকে সেন্ট পিটার্সবার্গগামী একটি বেসরকারি সংস্থার এমব্রেয়ার লিগ্যাসি বিমান তেভর অঞ্চলের কুজেনকিনো গ্রামের কাছে ভেঙে পড়ে। বিমানটিতে পাইলট, ক্রু, যাত্রী-সহ মোট ১০ জন ছিলেন। তাদের সকলেই মারা গিয়েছেন। মৃতদের তালিকায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের একদা ঘনিষ্ঠ প্রিগোঝিন রয়েছেন বলে প্রকাশিত ওই খবরে দাবি। যদিও এর আগেও রুশ সংবাদমাধ্যমে প্রিগোঝিনের মৃত্যুর খবর প্রচারিত হয়েছে।

মঙ্গলবার রুশ ভাড়াটে যোদ্ধাদলের নেতা প্রিগোঝিন ভিডিয়ো বার্তায় জানিয়েছিলেন, এখন আফ্রিকার মরুভূমিই তার ঠিকানা। ওয়াগনার বাহিনীতে নতুন করে যোদ্ধা নিয়োগের কথা ঘোষণা করে ‘ইচ্ছুকদের’ যোগাযোগের জন্য একটি ফোন নম্বরও দিয়েছিলেন তিনি। ভিডিয়ো দেখে প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়েছিল, প্রিগোঝিন এখন সাহারা মরুভূমি লাগোয়া কোনও দেশে রয়েছেন। তবে ঠিক কোথায় তিনি রয়েছেন, সে বিষয়ে কিছু জানাননি ওয়াগনার প্রধান।

ভিডিয়ো বার্তায় প্রিগোঝিন বলেন, এখানে তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রির বেশি। তবে আমরা খুশিতেই রয়েছি। ওয়াগনার এখন সব মহাদেশে রাশিয়ার গৌরব বাড়াতে অবদান রেখেছে। এ বার আফ্রিকার মানুষকে মুক্তি এবং আনন্দের স্বাদ দিতে এবং তাদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করব। আমরা ইসলামিক স্টেট (আইএস), আল কায়দা-সহ সব জঙ্গিদের দুঃস্বপ্নে পরিণত হব।

প্রসঙ্গত, রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের নির্দেশে প্রিগোঝিন খুন করা হয়েছে বলে জুলাই মাসের গোড়ায় অভিযোগ উঠেছিল। মস্কোর বিরুদ্ধে ব্যর্থ বিদ্রোহের পর প্রিগোঝিন বেলারুশে আশ্রয় নিয়েছেন বলেও জল্পনা ছিল। প্রসঙ্গত, গত বছর কিভ, ডনবাস-সহ ইউক্রেনের একাধিক অঞ্চল দখলের গুরুদায়িত্ব তারই বাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। কিন্তু রুশ ধনকুবের প্রিগোঝিনের ভাড়াটে যোদ্ধাগোষ্ঠী ওয়াগনারের ‘বন্দুকের নল’ গত জুন মাসে ঘুরে যায় পুতিনেরই দিকে। রুশ প্রেসিডেন্ট সেই ‘বিদ্রোহ’ সফলভাবে মোকাবিলার পর থেকেই প্রশ্ন উঠেছিল প্রিগোঝিনের ভবিষ্যৎ নিয়ে। এর পর হঠাৎ তার নিখোঁজ থাকার ঘটনায় নতুন করে জল্পনা ছড়ায়। তাকে খুন বা জেলবন্দি করা হয়েছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছিল কয়েকটি পশ্চিমি সংবাদমাধ্যম।

জুন মাসে ওয়াগনার যোদ্ধারা ইউক্রেন সীমান্তবর্তী একাধিক এলাকার দখল নিয়েছিল। এর পর তারা রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর উদ্দেশে অভিযান শুরু করে। কিন্তু সে সময় পুতিন দ্রুত নিজের অনুগত রুশ সেনাকে সামনে রেখে ‘বিদ্রোহীদের’ নিরস্ত করেছিলেন। প্রিগোঝিন সে সময় রাশিয়া থেকে বেলারুশে চলে গিয়েছিলেন বলে বিভিন্ন পশ্চিমী সংবাদমাধ্যম জানিয়েছিল। পুতিন ঘনিষ্ঠ বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজ়ান্ডার লুকাশেঙ্কো দাবি করেছিলেন, তিনিই মস্কোর সঙ্গে ওয়াগনার বাহিনীর সমঝোতা করিয়েছেন। আমেরিকা এবং ইউরোপের দেশগুলি তরফে সে সময় শোনা গিয়েছিল, সমঝোতার শর্ত অনুযায়ী প্রিগোঝিনকে বেলারুশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণভাবে লুকাশেঙ্কো দাবি করেন, তার দেশে প্রিগোঝিন নেই। ক্রেমলিনের তরফেও জানানো হয়, ওয়াগনার প্রধান কোথায় তারা জানে না।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড