• শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১  |   ৩৬ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

ভারতের রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পাওয়া চূড়াচাঁদের স্ত্রীকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারল সন্ত্রাসীরা

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২৩ জুলাই ২০২৩, ১৭:২২
জীবন্ত পুড়িয়ে মারা

ভারতের মণিপুরের আরও একটি নৃশংস ঘটনার কথা প্রকাশ্যে এল। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আব্দুল কালামের কাছ থেকে পুরস্কার নেওয়া স্বাধীনতা সংগ্রামী এস চূড়াচাঁদ সিংহের বয়স্কা স্ত্রীকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে। থানায় অভিযোগও দায়ের করেছে মৃতার পরিবার।

এনডিটিভি-র একটি প্রতিবেদনে প্রকাশ, ঘটনাটি গত ২৮ মে-র। প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই দিন কাকচিং জেলার সেরোও গ্রামে অজ্ঞাতপরিচয় কিছু ব্যক্তি হাতে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে একটি বাড়ির দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। সেই সময় ওই বাড়ির ভিতরে ছিলেন ওই স্বাধীনতা সংগ্রামীর স্ত্রী, ৮০ বছর বয়সি ইবেটোমবি। বেশ কিছু সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর আগুন নেভান গ্রামবাসীরা। বাড়ির ভিতর থেকে মেলে ওই বৃদ্ধার দেহাবশেষ। বৃদ্ধার নাতি প্রেমকাঁটা এনডিটিভি-কে জানিয়েছেন, দুষ্কৃতীরা তাকেও হত্যা করার চেষ্টা করেছিলেন। দাদীকে বাড়ির ভিতর থেকে উদ্ধার করতে গিয়ে হাতে গুলি লাগে তারও। প্রেমকাঁটার কথায়, “আমি দাদীকে বাঁচাতে গেলে তিনি বলেন, এখন পালিয়ে যা। কিছু সময় পরে আমায় নিতে আসবি।” কিন্তু দাদীকে আর তিনি রক্ষা করতে পারেননি, আক্ষেপ ঝরে পড়ে নাতির গলায়।

ওই ঘটনার প্রায় দু’মাস পরে জ্বালিয়ে দেওয়া সেই বাড়ির কাছে গিয়েছিলেন প্রেমকাঁটা। সেখানে ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে একটি ছবি উদ্ধার করেন তিনি। সেই ছবিতে তার দাদার সঙ্গে রয়েছেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি কালামও। মণিপুরের রাজধানী ইম্ফল থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত সেরোও রাজ্যের হিংসাদীর্ণ গ্রামগুলির মধ্যে শীর্ষ তালিকায় রয়েছে। ছবির মতো সুন্দর গ্রামটির নানা দিকে এখন বুলেটের দাগ, আধপোড়া ধ্বংসস্তূপ।

প্রসঙ্গত, গত বুধবারই সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া মণিপুরের একটি ভিডিয়ো ঘিরে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয় দেশ জুড়ে। ভিডিয়োতে দেখা যায়, দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে রাস্তায় ঘোরাচ্ছে উন্মত্ত জনতা। ওই দুই মহিলার মধ্যে এক মহিলাকে গণধর্ষণ করা হয় বলেও অভিযোগ। মণিপুর পুলিশের দাবি, ছবিটি গত ৪ মে তোলা। দুই নির্যাতিতার এক জন ইতিমধ্যেই গত ৪ মের সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন। সমাজমাধ্যমে ভিডিয়ো ছড়িয়ে না পড়া পর্যন্ত পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করেনি বলে অভিযোগ।

মণিপুরের ওই ঘটনায় দেশ জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। মণিপুরের গোষ্ঠীহিংসার সূচনা পর্বেই দুই মহিলা গণধর্ষণ এবং হিংসার শিকার হলেও ৭৭ দিন পরে কেন পুলিশ সক্রিয় হলো, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। বিরোধীদের দাবি, ঘটনার কয়েক দিন পরেই এ নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হলেও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড