আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের রায়গড়ে ১৪৪ ধারা জারি করতে বাধ্য হয়েছে প্রশাসন। লাশের দুর্গন্ধে ছেয়ে গিয়েছে ধ্বংসস্তূপ। তাই তার কাছে কেউ যাতে না যান, তা নিশ্চিত করতে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। এখনো চলছে উদ্ধারকাজ।
রায়গড়ের ধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৭ জনে দাঁড়িয়েছে। এখনো ৮১ জনের খোঁজ পাওয়া যায়নি। ধ্বংসস্তূপে আরও দেহ আটকে আছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
নিহতদের মধ্যে ১২ জন নারী, ১০ জন পুরুষ ও চারটি শিশু রয়েছে। এদের মধ্যে শুধু একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এক পরিবারের নয়জন সদস্যই প্রাণ হারিয়েছেন এই দুর্ঘটনায়। গ্রামটির জনসংখ্যা ২২৯ জন এবং তাদের মধ্যে নিরাপদে রয়েছেন মাত্র ১১১ জন।
রায়গড় জেলার ইরশালবাদী গত বুধবার ভোরে ধস নামে। পাহাড় ধসে গ্রামের একটা বড় অংশ নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। ৪৮টি বাড়ির মধ্যে ১৭টি বাড়ি ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে গিয়েছে। ওই সময় অনেকে ঘুমচ্ছিলেন। সেই অবস্থানেই বাড়ি ধসে গিয়েছে। অনেক বাড়ি কাদামাটিতে বসেও গিয়েছে।
বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী উদ্ধারকাজ শুরু করতে দেরি করেনি। তবে প্রবল বৃষ্টিতে উদ্ধারকাজ বার বার ব্যাহত হয়েছে। গ্রামটি পাহাড়ের মাঝে, সমতল থেকে বেশ খানিকটা উঁচুতে। সেখানে পৌঁছনোর তেমন কোনও রাস্তা নেই। দুর্গমতাই উদ্ধারকাজের অন্যতম প্রতিবন্ধক।
রায়গড়ে নিহতদের পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা আগেই ঘোষণা করেছিল মহারাষ্ট্র সরকার। এছাড়া আহতদের চিকিৎসাও হচ্ছে সরকারি খরচে।
মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ভূমিধ্বসে দুই থেকে ১৪ বছরের যে সব অপ্রাপ্তবয়স্ক পরিবার হারিয়েছে, তাদের লেখাপড়া-সহ সামগ্রিক দায়িত্ব নেবে তার শ্রীকান্ত শিন্ডে ফাউন্ডেশন।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড