• শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১  |   ৩৪ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

মালয়েশিয়ায় এয়ারলাইন্সের টিকিট বিক্রিতে প্রবাসীদের সঙ্গে চলছে প্রতারণা

  আহমাদুল কবির, মালয়েশিয়া প্রতিনিধি

১২ জুন ২০২৩, ১৫:০৬
মালয়েশিয়ায় এয়ারলাইন্সের টিকিট বিক্রিতে প্রবাসীদের সঙ্গে চলছে প্রতারণা

মালয়েশিয়ায় বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের গ্রুপ টিকিট বিক্রিতে সক্রিয় একটি প্রতারক চক্র। চক্রটি সুযোগ বুঝে সহজ সরল প্রবাসীদের ট্র্যাপে ফেলে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ রিঙ্গিত।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গেলো মহামারি করোনার সময় থেকে কুয়ালালামপুর-ঢাকা রুটে বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের টিকিটের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যায়। টিকিটের দাম বাড়তে থাকায় প্রতারক চক্র এয়ারলাইন্সগুলোর সাথে দফারফা করে গ্রুপ টিকিট বিক্রির ব্যবসা শুরু করে।

সহজ সরল প্রবাসীরা কম দামে টিকিট ক্রয় করে বিমান বন্দরে গিয়ে পড়েন নানা সমস্যায়। কেউ পার পান আবার কেউ কেউ জাল টিকিটের তকমা নিয়ে বিমান বন্দর থেকে ফিরে আসতে হয় তখন বুঝতে পারেন (প্রবাসী) তিনি প্রতারণার স্বীকার হয়েছেন। শুধু প্রবাসীরাই নয়, যারা বৈধভাবে এ ব্যবসার সাথে জড়িত তাদের সাথেও প্রতারণা করছে এ চক্রটি।

শত শত প্রবাসীদের টেলিফোনে অভিযোগের আলোকে চলে অনুসন্ধান। আফছার উদ্দিন, জননী রেইনবু ট্র্যাভেলস অ্যান্ড ট্যুরসের মালিক তিনি। কোতারায়া বাংলা মার্কেটে মালয়েশিয়া সরকারের অনুমতি নিয়ে বৈধভাবে বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের টিকিট বিক্রি করছেন। আফছার জানান, ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে, কুয়ালালামপুর পুডু এলাকার একেএম ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরসের মালিক, একেএম সায়েম ও তার স্ত্রী উম্মে তাসলিমা তার অফিসে আসেন। বিভিন্ন আলোচনার এক পর্যায়ে তাদের সাথে গ্রুপ টিকিট ব্যবসার অনুরোধ করে।

তখন সায়েম জানান, তাদের কাছে মালয়েশিয়া এয়ার লাইন্সের অনেকগুলো গ্রুপ টিকেট রয়েছে। তাদের কাস্টমার না থাকায় তারা টিকেট গুলো বিক্রি করতে পারছেনা।

তাদের কথায় রাজি হয়ে গত ৩-১-২০২২ তারিখ থেকে তাদের সাথে ব্যবসা ও লেনদেন শুরু করেন আফছার। পর্যায়ক্রমে সায়েমের কাছ থেকে ৩০টির মতো বিমান টিকেট ক্রয় করি এবং তাকে তার মূল্য পরিশোধ করি। যার মূল্য প্রায় ৩৫ হাজার রিঙ্গিত।

আস্থা অর্জনে প্রথম অবস্থায় চার পাঁচজন যাত্রীর অরিজিনাল টিকেট দিয়ে ঠিক মতো ফ্লাইট করিয়ে দেয়। গত ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ইং তারিখে আফছার তার পরিবার নিয়ে বাংলাদেশ চলে যান। কারণ বশত: অনেক দিন বাংলাদেশে অবস্থান করেন তিনি। এই সুযোগে সায়েম ২৫ জন যাত্রীর টিকিট আফছারকে না জানিয়ে রিফান্ড করে নেয়।

যাত্রীরা সবাই এয়ারপোর্ট গিয়ে ফ্লাই না করতে পেরে এয়ারপোর্ট থেকে ফিরে আসে এবং আফছারকে ফোনে গালা-গাল করতে থাকে যাত্রীরা। এরপর জরিমানা দিয়ে আফছার যাত্রীদের নতুন করে টিকিট কিনে দিয়ে ২৫ জন যাত্রীকে দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করে দেন।

২৫টি টিকিটের ২৫ হাজার রিঙ্গিত প্রায় ছয় লাখ টাকা ফেরত দিতে টালবাহানা করছে সায়েম। ১০ জুন কুয়ালালামপুর পুডুতে গিয়ে দেখা গেছে, সায়েমের অফিসে তালা ঝুলানো।

আশপাশের লোকজনের কাছ থেকে জানা গেছে, অফছারের মত আরও অনেকের কাছ থেকে এভাবে প্রতারণা করে লাখ লাখ রিঙ্গিত হাতিয়ে নিয়ে পালিয়েছে সায়েম।

এ দিকে গত ১০ এপ্রিল ২০২৩ কুয়ালালামপুর দাংওয়াংগি থানায় সায়েমের বিরুদ্ধে আফছার একটি পুলিশ রিপোর্ট দায়ের করেন এবং ১৩ এপ্রিল সায়েমের বিরুদ্ধে মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনেও একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড