আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আসন্ন হজ মৌসুম নিয়ে নিজেদের পূর্ণ পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে মুসলমানদের তীর্থস্থান খ্যাত মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম অধ্যুষিত রাষ্ট্র সৌদি আরব। ২০২০ সালে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া করোনা মহামারির তাণ্ডব শুরুর পর এবারই সবচেয়ে বড় পরিসরে হজের পরিকল্পনা সাজিয়েছে দেশটি।
হাজিরা যেন নির্বিঘ্নে হজ সম্পন্ন করতে পারেন সে জন্য এবার রেকর্ড সংখ্যক ১৪ হাজার কর্মী মোতায়েন করবে সৌদি। এসব কর্মীর সঙ্গে থাকবেন আরও আট হাজার স্বেচ্ছাসেবক।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ঘোষণা অনুযায়ী, এ বছর হজের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হতে পারে ২৬ জুন।
এবারের পরিকল্পনা অনুযায়ী, মক্কার হারাম শরীফ এবং মদিনার মসজিদে নববীতে বিনামূল্যে তিন লাখ পবিত্র কোরআন বিতরণ করা হবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আগত হাজিদের সুবিধার্থে ৫১টি ভাষায় অনুবাদক এবং গাইডের ব্যবস্থা রাখা হবে।
পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত এবং হিফজের ওপর বিভিন্ন কর্মশালা থাকবে।
এছাড়া মক্কা ও মদিনায় ৩০ হাজার বিতরণ কেন্দ্রের মাধ্যমে- প্রতিদিন অন্তত দুই মিলিয়ন লিটার, আর সব মিলিয়ে ৪০ মিলিয়ন লিটার জমজমের পানি বিতরণ করা হবে।
হাজিদের সুবিধার্থে মোবাইল অ্যাপস, রোবটসহ বিভিন্ন ডিজিটাল সুবিধা থাকবে।
সবকিছুই করা হবে দুই পবিত্র মসজিদ সম্পর্কিত জেনারেল প্রেসিডেন্সির মাধ্যমে।
নিজেদের পরিকল্পনা সম্পর্কে প্রেসিডেন্সির প্রেসিডেন্ট ডাক্তার আব্দুল রহমান আল-সুদাইস এক বিবৃতিতে বলেছেন, রাজ নেতৃত্বের বিজ্ঞ নেতৃবৃন্দের সমন্বিত প্রস্তুতকৃত সেবা অনুযায়ী- করোনা মহামারির শেষে এবং কয়েক লাখ হাজি ফেরানোর ঘোষণা দেওয়ার পর- এবারই হজ মৌসুমের সবচেয়ে বড় পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে।
বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারির প্রাদুর্ভাব কমে যাওয়ায়, এ বছর হজের ক্ষেত্রে সব ধরনের বিধিনিষেধ তুলে নিয়েছে সৌদি আরব। ধারণা করা হচ্ছে এবার বিশ্বের ২৬ লাখ মুসল্লির ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে মুখরিত হবে কাবা প্রাঙ্গণ।
সূত্র : আল-আরাবিয়া
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড