নিজস্ব প্রতিবেদক
তহবিল ঘাটতির কথা উল্লেখ করে আগামী মার্চ মাস থেকে রোহিঙ্গাদের জন্য জনপ্রতি বরাদ্দ ১২ মার্কিন ডলার থেকে কমিয়ে ১০ ডলার করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)। তবে দ্রুত নতুন তহবিল জোগাড় না হলে এর পরিমাণ আরও কমতে পারে বলে সতর্ক করেছে সংস্থাটি।
জাতিসংঘের এ সংস্থাটির এমন সিদ্ধান্তে বিশ্বের বৃহৎ শরণার্থী শিবিরে খাদ্য নিরাপত্তার সংকট ও পুষ্টিহীনতা আরও বাড়বে বলে উদ্বেগপ্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো।
আন্তর্জাতিক দাতা গোষ্ঠীর কাছে সাড়ে ১২ কোটি ডলারের জরুরি তহবিল চেয়ে ডব্লিউএফপি বলেছে, আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর বাসিন্দাদের এক-তৃতীয়াংশই শিশু। পুষ্টির অভাবে তাদের স্বাভাবিক বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বেশিরভাগ শিশুর ওজন স্বাভাবিকের তুলনায় কম। এ অবস্থায় তাদের খাদ্যের জন্য জরুরি তহবিল না পেলে তার প্রভাব হবে ব্যাপক ও সুদূরপ্রসারী।
বাংলাদেশে সেভ দ্য চিলড্রেনের কান্ট্রি ডিরেক্টর অনো ভ্যান ম্যানেন এক বিবৃতিতে বলেছেন, আন্তর্জাতিক দাতারা যদি পাঁচ লাখের বেশি রোহিঙ্গা শিশু ও তাদের পরিবারের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, তাহলে তা হবে বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা এই জনগোষ্ঠীর প্রতি প্রতিশ্রুতির বরখেলাপ। তার মতে, রোহিঙ্গারা বিপর্যয়ের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। এ অবস্থায় তাদের সহায়তা বাড়ানো দরকার, কমানো নয়।
জাতিসংঘের দুই বিশেষ দূত মাইকেল ফাখরি ও টম অ্যান্ড্রুজ এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, রোহিঙ্গাদের জন্য বরাদ্দ কমানো হলে তার ফল হবে বিপর্যয়কর। তাদের কথায়, রোজার আগে এভাবে রোহিঙ্গা মুসলিমদের রেশন কমিয়ে দেওয়ার ঘোষণা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
ডব্লিউএফপির এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরিচালক জনি আইলিয়েফ বলেন, যে পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে এই জনগোষ্ঠীকে যেতে হয়েছে, যেখানে খুব বেশি সুযোগও তাদের সামনে নেই, সেখানে এভাবে রেশন কমিয়ে দেওয়া আমার কাছে অকল্পনীয়।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড