আন্তর্জাতিক ডেস্ক
তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্ত অঞ্চলে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা পাঁচশ ছাড়িয়েছে। এবার চলছে উদ্ধার কাজ। শক্তিশালী এই ভূমিকম্পের ফলে ভবন ধসে ধ্বংসস্তূপে আটকা আরও বহু মানুষ।
তুর্কি ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াত ওকতেই জানিয়েছেন, তুরস্কে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ২৮৪। আহত হয়েছেন আরও দুই হাজার ৩২৩ জন। উদ্ধারকাজে নামানো হয়েছে এয়ারক্রাফট। আন্তর্জাতিক সহযোগিতার আহ্বানও জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
দেশটিতে জরুরি অবস্থা জারি করেছে প্রেসিডেন্ট রেসেপ তাইয়্যেপ এরদোগানের প্রশাসন।
অপর দিকে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে, ভূমিকম্পের আঘাতে ২৩৭ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আহত হয়েছেন আরও ৬০০ জন। এখনো ধ্বংসস্তূপে আটকা পড়ে আছেন বহু মানুষ।
আজ সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভোরের দিকে আঘাত হানা ভূমিকম্পে বিভিন্ন স্থাপনা কেঁপে ওঠে লেবানন ও সাইপ্রাসেও।
সোমবার মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) ভূমিকম্পের আঘাত হানার বিষয়টি নিশ্চিত করে। ভোরের দিকে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তুরস্কের দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলেও শক্তিশালী আফটারশক অনুভূত হয়েছে। মূল ভূ-কম্পনটি আঘাত হানার প্রায় ১১ মিনিট পর আরেক দফায় আঘাত হানে ভূমিকম্প। ৬ দশমিক ৭ মাত্রার শক্তিশালী আফটারশক মূল ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের প্রায় ৩২ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে আঘাত হানে। ১৯ মিনিট পরে, ৫ দশমিক ৬ মাত্রার আরেকটি তীব্র আফটারশক অনুভূত হয়।
তুরস্কে প্রায়শই ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর আগে, ১৯৯৯ সালে উত্তর-পশ্চিম তুরস্কে শক্তিশালী ভূমিকম্পে প্রায় ১৮ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।
সূত্র : বিবিসি নিউজ, রয়টার্স
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড