• বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩, ১৫ চৈত্র ১৪২৯  |   ২৫ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

তুরস্কে ভূমিকম্পের আঘাতে নিহত বেড়ে ১১৮

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১১:৪৭
তুরস্কে ভূমিকম্পের আঘাতে নিহত বেড়ে ১১৮
ভূমিকম্পের আঘাতে বিধ্বস্ত ভবনের ধ্বংসাবশেষ (ছবি : আনাদোলু এজেন্সি)

শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাতে কেঁপে উঠেছে ইউরোপের মুসলিম অধ্যুষিত রাষ্ট্র তুরস্ক। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮ মাত্রার। সোমবার স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে ঘটা কম্পনটি রাজধানী আঙ্কারাসহ দেশটির সব অঞ্চলে অনুভূত হয়।

তুরস্কের সরকারি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দপ্তর এএফএডির দুই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত ১৭ জনের মৃত্যুর সংবাদ পেয়েছেন তারা। যদিও এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

দেশটিতে এ পর্যন্ত ১১৮ জন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। নিহতদের মধ্যে ৫৬ জন তুরস্কের এবং ৪২ জন পার্শ্ববর্তী দেশ সিরিয়ার আলেপ্পো প্রদেশের।

তুরস্কের পুলিশ ও সরকারি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দপ্তর এএফএডির বরাতে ব্রিটিশ মিডিয়া বিবিসি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহত ৫৬ জনের মধ্যে ২৩ জন মালাতায়া, ১৭ জন সানলিউরফা, ছয়জন দিয়ারবাকির এবং পাঁচজন ওসমানিয়া শহরের। এছাড়া বাকিরা অন্যান্য অঞ্চলের।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতত্ত্ব জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস এক বিবৃতি অনুযায়ী, পরপর দুটি ভূমিকম্প হয়েছে তুরস্কে। প্রথমটি হয়েছে ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে এবং সেটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। আর দ্বিতীয়টি ঘটে তার ১৫ মিনিট পর। সেটি মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৭।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ খারমানমারাসের গাজিয়ানতেপ শহরের কাছে ভূপৃষ্ঠের ১৭ দশমিক ৯ কিলোমিটার গভীরে ছিল ভূমিকম্প দু’টির উৎপত্তিস্থল। তুরস্ক ছাড়াও সিরিয়া, লেবানন ও সাইপ্রাসে কম্পন অনুভূত হয়েছে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি।

পার্শ্ববর্তী দেশ সিরিয়ার সীমান্ত থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত গাজিয়ানতেপ তুরস্কের অন্যতম শিল্পোৎপাদন কেন্দ্র নামে পরিচিত। এই শহরটি ও তার আশপাশের এলাকায় বেশকিছু শিল্প কারখানা গড়ে ওঠায় তুরস্কের অন্যতম জনবসতিপূর্ণ শহর এই গাজিয়ানতেপ। সিরিয়ার সীমান্তবর্তী হওয়ায় গাজিয়ানতেপে অনেক সিরীয় শরণার্থীও আছেন।

গাজিয়ানতেপ সীমান্তের অপর প্রান্তে সিরিয়ার আলেপ্পো প্রদেশ। সিরিয়ার সরকারি সংবাদমাধ্যমের সংবাদে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পের পর প্রদেশের অধিকাংশ ভবন ধসে পড়েছে। ফলে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক হতাহতের আশঙ্কা আছে আলেপ্পোতেও।

তুরস্কের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো ভরে উঠেছে ভূমিকম্পের ফলে গাজিয়ানতেপসহ বিভিন্ন শহরে ধসে পড়া ভবনের ভিডিয়ো চিত্রে। এসব ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে বহু মানুষ আটকা পড়ে আছেন।

ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়াদের মধ্যে আহত ও নিহতের সংখ্যাও প্রচুর বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে তুরস্কের পুলিশ বা সরকারি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দপ্তর এএফএডি এখন পর্যন্ত হতাহতের সংখ্যা প্রকাশ করেনি।

বিশ্বের সবচেয়ে ভূমিকম্প প্রবণ দেশগুলোর মধ্যে একটি হলো তুরস্ক। ১৯৯৯ সালে তুরস্কের দুজকে অঞ্চলে ৭ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল। সেই দুর্যোগে দেশটিতে মোট নিহতের সংখ্যা ছিল ১৭ হাজারেরও বেশি। একক শহর হিসেবে ইস্তাম্বুলে নিহতের সংখ্যা ছিল সবচেয়ে বেশি- প্রায় এক হাজার জন।

এরপর ২০২০ সালের জানুয়ারিতে তুরস্কের পূর্বাঞ্চলীয় শহর এলাজিগে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে ৪০ জন নিহত হন। একই বছর অক্টোবরে এজিয়ান সাগর উপকূলে ৭ মাত্রার আরও একটি ভূমিকম্প হয়েছিল। সেই দুর্যোগে নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছিল ১১৪ জনে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড