বিশ্বে ৬৬ লাখ ১৫ হাজার প্রাণ নিল করোনা

চলমান মহামারি করোনা ভাইরাসের ভয়াল থাবায় বিশ্বজুড়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমে হ্রাস পেয়েছে। একই সঙ্গে আগের দিনের তুলনায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমেছে প্রাণঘাতী ভাইরাসে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও। গেল ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে কোভিড আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারীর সংখ্যা সাড়ে তিনশোতে নেমে এসেছে। নির্ধারিত এই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় দুই লাখে নেমেছে।

এ দিকে গত এক দিনে বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটল পূর্ব এশিয়ার দেশ জাপানে। অন্য দিকে দৈনিক প্রাণ হারানোদের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে তাইওয়ানের নাম। আর প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে যথাক্রমে- রাশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া এবং ইন্দোনেশিয়া। এতে বিশ্বব্যাপী কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ৬৪ কোটি তিন লাখের ঘর ছাড়িয়েছে। অন্য দিকে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৬ লাখ ১৫ হাজারে বৃদ্ধি পেয়েছে।

রবিবার (১৪ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টা পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে মৃত্যু, আক্রান্ত ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডো মিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, শেষ ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে কোভিড আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ৩৫৪ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা শতাধিক কমেছে। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা ৬৬ লাখ ১৫ হাজার ৩৫১ জনে পৌঁছেছে।

নির্ধারিত এই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখ ছয় হাজার ৩২৭ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে প্রায় ১২ হাজার। এতে মহামারির তাণ্ডব শুরুর পর থেকে ভাইরাসটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৬৪ কোটি তিন লাখ ১৪ হাজার ৮৩৯ জনে দাঁড়িয়েছে।

এ দিকে শেষ ২৪ ঘণ্টায় সারাবিশ্বে করোনার থাবায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা দেখল জাপানের জনগণ। একই সময়ে দেশটিতে নতুন করে কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন ৬৮ হাজার ৮৯৪ জন এবং মারা গেছেন ৬৭ জন। করোনা মহামারির তাণ্ডব শুরুর পর থেকে পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে এ পর্যন্ত দুই কোটি ৩১ লাখ ৭৮ হাজার ৭১০ জন করোনায় আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৪৭ হাজার ৫৭৯ জন মারা গেছেন।

করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে চতুর্থ ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে কোভিড আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন তিনজন। এছাড়া নতুন করে রোগটিতে সংক্রমিত হয়েছেন এক হাজার ১৪০ জন। অপর দিকে মহামারির তাণ্ডব শুরুর পর থেকে দেশটিতে এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে তিন কোটি ৪৯ লাখ ৫৫ হাজার ৮২০ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া মৃত্যু হয়েছে ছয় লাখ ৮৮ হাজার ৭৩৮ জনের।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে এশিয়ার পরাশক্তি চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) প্রাণঘাতী ভাইরাসটিকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।