বিশ্বে ৬৫ লাখ ৯৪ হাজার প্রাণ নিল করোনা

চলমান মহামারি করোনা ভাইরাসের ভয়াল থাবায় বিশ্বজুড়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে। যদিও আগের দিনের তুলনায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমেছে প্রাণঘাতী ভাইরাসে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা। গেল ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে কোভিড আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন সাড়ে ছয় শতাধিক মানুষ। নির্ধারিত এই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ৩১ হাজারে নেমে এসেছে।

এ দিকে গত এক দিনে বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটল তাইওয়ানে। অপর দিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় এরই মধ্যে শীর্ষস্থানে উঠে এসেছে ফ্রান্সের নাম। আর প্রাণ হারানোদের তালিকায় এরপরই রয়েছে যথাক্রমে রাশিয়া, তাইওয়ান, যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রাজিল। এতে বিশ্বব্যাপী কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ৬৩ কোটি ৫৫ লাখের ঘর ছাড়িয়েছে। অন্য দিকে মৃতের সংখ্যা ৬৫ লাখ ৯৪ হাজারে পৌঁছে গেছে।

মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় সকাল ১০তা পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে মৃত্যু, আক্রান্ত ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডো মিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে কোভিড আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ৬৬৩ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা আড়াই শতাধিক বেড়েছে। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা ৬৫ লাখ ৯৪ হাজার ৪৭৭ জনে পৌঁছেছে।

নির্ধারিত এই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন এক লাখ ৩১ হাজার ৬৯৫ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার কমেছে। এতে মহামারির তাণ্ডব শুরুর পর থেকে ভাইরাসটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৬৩ কোটি ৫৫ লাখ ৯৬ হাজার ১৮৩ জনে দাঁড়িয়েছে।

এ দিকে শেষ ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনার থাবায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা দেখল তাইওয়ানের জনগণ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে কোভিড সংক্রমিত হয়েছেন ২২ হাজার ৬৩৪ জন এবং মারা গেছেন ৫৯ জন। এছাড়া মহামারির তাণ্ডব শুরুর পর থেকে দেশটিতে এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৭৭ লাখ ১২ হাজার ৭২৬ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া মৃত্যু হয়েছে ১২ হাজার ৮৩১ জনের।

অন্য দিকে দৈনিক প্রাণ হারানোদের তালিকায় শীর্ষস্থানে উঠে এসেছে ফ্রান্স। গত ২৪ ঘণ্টায় ফরাসি ভূখণ্ডে দেশটিতে নতুন করে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তিন হাজার ৭৬৮ জন এবং মারা গেছেন ১১২ জন। করোনা মহামারির তাণ্ডব শুরুর পর থেকে দেশটিতে এ পর্যন্ত তিন কোটি ৬৮ লাখ ১৩ হাজার ৩৮৫ জন কোভিড হয়েছেন। এছাড়া এক লাখ ৫৬ হাজার ৯৯৪ জন মারা গেছেন।

পূর্ব এশিয়ার দেশ জাপানে নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২২ হাজার ৩৪১ জন এবং মারা গেছেন ২৩ জন। করোনা মহামারির তাণ্ডব শুরুর পর থেকে দেশটিতে এ পর্যন্ত দুই কোটি ২২ লাখ ৯৫ হাজার ৫৯২ জন রোগটিতে আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৪৬ হাজার ৬৫৯ জন। একই সময়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ হাজার ৫১০ জন এবং মারা গেছেন ১৮ জন।

করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে চতুর্থ ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫০ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন তিন হাজার ৭৩১ জন। অপর দিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা তিন কোটি ৪৮ লাখ ৭০ হাজার ৩৯৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ছয় লাখ ৮৮ হাজার ২০৫ জনের।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে এশিয়ার পরাশক্তি চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।