আন্তর্জাতিক ডেস্ক
দক্ষিণ পূর্ব-এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়ায় আঘাত হেনেছে শক্তিশালী মাপের ভূমিকম্প। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৩।
ব্রিটিশ মিডিয়া বিবিসি নিউজ বলছে, বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় সকালে দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় মালাকু প্রদেশের বরত দায়া দ্বীপপুঞ্জে কম্পনটি অনুভূত হয়। মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, এবারের ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৩।
ভূমিকম্পের পর দ্বীপপুঞ্জটিতে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। যদিও আশপাশের দ্বীপগুলোতে সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়নি।
গেল ১৪ ডিসেম্বর একই মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল দেশটির পূর্বাঞ্চলে। সে সময় সুনামি সতর্কতাও জারি করা হয়েছিল। কিন্তু তখন কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন : তাইওয়ান স্বাধীনতা চাইলে ‘চূড়ান্ত পদক্ষেপ’ নেবে চীন
বিশ্লেষকদের মতে, প্রশান্ত মহাসাগরের ‘রিং অফ ফায়ার’ এলাকায় অবস্থান হওয়ায় ইন্দোনেশিয়ায় মাঝারি বা বড় ধরণের ভূমিকম্প প্রায় নিয়মিত ঘটনা। ভূগর্ভস্থ টেকটোনিক প্লেটের ঘন ঘন স্থানচ্যুতির কারণে এই এলাকার নামকরণ করা হয়েছে ‘রিং অব ফায়ার’। জাপান থেকে শুরু হয়ে প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূলবর্তী দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার এলাকাসমূহ এই ‘রিং অব ফায়ার’-এর মধ্যে পড়েছে।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্রটিতে ভূমিকম্প এবং আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ খুবই সাধারণ একটি বিষয়। চলতি ডিসেম্বর মাসের শুরুর দিকে দেশটির জাভা দ্বীপে মাউন্ট সেমেরু আগ্নেয়গিরিতে অগ্ন্যুৎপাতের কারণে কমপক্ষে ৪৮ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন। ভয়াবহ সেই অগ্নুৎপাতের কারণে ধেয়ে আসা ছাইয়ের কুণ্ডলী ও লাভায় দগ্ধ হয়ে শত শত মানুষ আহত হয়েছিলেন।
আরও পড়ুন : পার্লামেন্ট ভবনে হাতাহাতি (ভিডিয়ো)
এর আগে ২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর দ্বীপরাষ্ট্রটির আচেহ প্রদেশে ৯ দশমিক ১ মাত্রার তীব্র শক্তিশালী ভূমিকম্পের ফলে ভয়াবহ সুনামির সৃষ্টি হয়। যাতে প্রায় এক লাখ ৭০ হাজারের বেশি লোকের মৃত্যু হয়। ইন্দোনেশিয়ার ইতিহাসে প্রাকৃতিক দুর্যোগে এটাই সবচেয়ে বড় হতাহতের ঘটনা।
ওডি/কেএইচআর
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড