• সোমবার, ০২ অক্টোবর ২০২৩, ১৮ আশ্বিন ১৪৩০  |   ২৯ °সে
  • বেটা ভার্সন

সর্বশেষ :

sonargao

সাজা কমল সু চির

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

০৭ ডিসেম্বর ২০২১, ১২:২৫
সাজা কমল সু চির
মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি গৃহবন্দি নেত্রী অং সান সু চি (ছবি : রয়টার্স)

মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিতর্কিত অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে বর্তমানে গৃহবন্দি অবস্থাতে থাকা গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চির সাজা কমিয়েছে জান্তা সরকার। সোমবার (৬ ডিসেম্বর) তার বিরুদ্ধে একটি মামলার রায়ে তাকে চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন দেশটির একটি আদালত। যদিও পরবর্তীকালে সেটি কমিয়ে দুই বছরে আনা হয়।

এবার তার বিরুদ্ধে আদালতে মোট ১১টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলা বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। সোমবার তার প্রথম মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। তার বিরুদ্ধে আনা সব মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে সু চিকে হয়তো যাবজ্জীবন কারাভোগ করতে হতে পারে।

রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়, মিয়ানমারের সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইংয়ের আংশিক ক্ষমার পর তার সাজা কমানোর ঘোষণা দেওয়া হয়। এখন তাকে চার বছরের পরিবর্তে মাত্র দুই বছর কারাভোগ করতে হবে। খবর বিবিসি নিউজের।

জনসাধারণকে উস্কে দেওয়ার এবং কোভিড-১৯ নিয়ম ভঙ্গ করার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে চার বছরের কারাদণ্ড ঘোষণা করা হলো। যদিও সু চির বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগই তিনি অস্বীকার করেছেন।

বিশ্লেষকদের মতে, চলতি বছর ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারে ক্ষমতাসীন গণতান্ত্রিক সরকারকে হটিয়ে জাতীয় ক্ষমতা দখল করে দেশটির সামরিক বাহিনী। বন্দি করা হয় গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চি ও তার দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্র্যাসির (এনএলডি) বিভিন্ন স্তরের কয়েক হাজার নেতাকর্মীকে।

আরও পড়ুন : ইরাকে আইএসের হামলায় ৫ কুর্দি যোদ্ধা নিহত

অভ্যুত্থানের পর ৭৬ বছর বয়সী গৃহবন্দি সু চির বিরুদ্ধে এক ডজন মামলা দায়ের করে ক্ষমতাসীন সামরিক সরকার। মামলাগুলো যেসব অভিযোগে করা হয়েছে তার মধ্যে, রাষ্ট্রের গোপন তথ্য পাচার, নিয়ম বহির্ভূতভাবে ওয়াকি টকি রাখা ও ব্যবহার, ক্ষমতায় থাকাকালে ঘুষ গ্রহণ, নিজের দাতব্য সংস্থার নামে অবৈধভাবে ভূমি অধিগ্রহণ ও করোনা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ায় গাফিলতিসহ উত্তেজনা সৃষ্টি এবং কোভিড-১৯ প্রোটোকল লঙ্ঘনের মাধ্যমে জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন ভাঙার বিষয়টি রয়েছে।

গত ফেব্রুয়ারি মাসে ক্ষমতাচ্যুত হলেও মূলত গত জুন থেকে রাজধানী নেইপিদোর বিশেষ সামরিক আদালতে এসব মামলার বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। রয়টার্স বলছে, এসব মামলায় সু চির সর্বোচ্চ শাস্তি হলে মোট কারাদণ্ডের মেয়াদ ১০০ বছর ছাড়িয়ে যেতে পারে। তবে গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চি এবং দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট তাদের বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

৭৬ বছর বয়সী সু চির সমর্থকরা বলছেন, তাদের নেত্রীর বিরুদ্ধে জান্তা সরকারের দায়ের করা এসব মামলা ভিত্তিহীন। তাদের অভিযোগ, সু চির রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ধ্বংস করতেই এসব মামলা দায়ের করা হয়েছে।

অবশ্য মিয়ানমারের জান্তা সরকার বলছে, সু চির প্রশাসনের নিয়োগ করা বিচারক এবং স্বাধীন আদালতে সুষ্ঠু কার্যবিধি মেনেই এই বিচার কার্যক্রম চলছে।

আরও পড়ুন : জার্মানিতে দুই গাড়ির সংঘর্ষে নিহত ৫

উল্লেখ্য, গৃহবন্দি হওয়ার পর থেকে সু চিকে খুব একটা দেখা যায়নি। যদিও জান্তা সরকারের দাবি, সু চি বর্তমানে সুস্থ আছেন এবং এরই মধ্যে তাকে মহামারি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধী ভ্যাকসিনও দেওয়া হয়েছে।

ওডি/কেএইচআর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড