আন্তর্জাতিক ডেস্ক
দায়িত্ব গ্রহণের কয়েক ঘণ্টার মাথায় পদত্যাগ করেছেন ইউরোপের দেশ সুইডেনের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ম্যাগডালেনা অ্যান্ডারসন। মাত্র কিছু সময় আগেই বুধবার (২৪ নভেম্বর) দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। আর সেই ঘটনায় কয়েক ঘণ্টা পরই তার পদ ছাড়ার কথাটি সামনে এলো।
বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যমে ম্যাগডালেনা অ্যান্ডারসনের এই পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ব্রিটিশ মিডিয়া বিবিসি নিউজ, বার্তা সংস্থা রয়টার্স এবং কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।
প্রতিবেদনগুলোয় জানানো হয়, বুধবার সুইডেনের পার্লামেন্টে ভোটাভুটির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন ম্যাগডালেনা অ্যান্ডারসন। এর আগে তিনি দেশটির অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। একই সঙ্গে সুইডিশ রাজনৈতিক দল সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেতৃত্বেও রয়েছেন ম্যাগডালেনা অ্যান্ডারসন।
বিবিসি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার ম্যাগডালেনা অ্যান্ডারসন নেতা নির্বাচিত হওয়ার পর তার জোটসঙ্গী সরকার থেকে বেরিয়ে যায়। ফলে পার্লামেন্টে বাজেট পাস করতে ব্যর্থ হয় সুইডিশ সরকার। মূলত এর পরপরই পদত্যাগ করতে বাধ্য হন তিনি।
নিজের পদ ছাড়ার প্রসঙ্গে ম্যাগডালেনা অ্যান্ডারসন সাংবাদিকদের বলেন, আমি পদত্যাগ করতে চাই। এটি আমি স্পিকারকে বলেছি। তবে ভবিষ্যতে আমি আবারও সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী হতে চাই। আমার দল এককভাবে সরকার গঠনে সমর্থ হলেই কেবল দলের আমি নেতা হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর পদে যাব।
আরও পড়ুন : ইয়েমেনে ১৩ লাখ মানুষের মৃত্যুশঙ্কা জাতিসংঘের
সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির এই নেতা জানান, সুইডেনের সাংবিধানিক রীতি অনুযায়ী- জোটগতভাবে গঠিত কোনো সরকার থেকে একটি দল বেরিয়ে গেলে গোটা সরকারেই পদত্যাগ করা উচিৎ। তার মতে, আমি এমন কোনো সরকারের নেতৃত্বে থাকতে চায় না, যার বৈধতা নিয়ে জনগণের মাঝে প্রশ্ন থাকবে।
এ দিকে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে পরামর্শ করে খুব দ্রুত পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন সুইডিশ পার্লামেন্টের স্পিকার।
বিশ্লেষকদের মতে, গত ১০ নভেম্বর সুইডেনের মধ্য-বামপন্থি প্রধানমন্ত্রী স্টিফান লোফভেন আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করায় বুধবার তার স্থলাভিষিক্ত হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছিলেন ম্যাগডালেনা অ্যান্ডারসন। প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য সুইডেনের ৩৪৯ আসনের পার্লামেন্টে অ্যান্ডারসনের পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন ১১৭ জন। আর ভোটদান থেকে বিরত ছিলেন ৫৭ জন। এছাড়া বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন ১৭৪ জন এবং একজন আইনপ্রণেতা অনুপস্থিত ছিলেন।
সুইডেনের আইন অনুযায়ী- সংসদে একজন প্রধানমন্ত্রী প্রার্থীর জন্য সংখ্যাগরিষ্ঠ আইনপ্রণেতার সমর্থনের প্রয়োজন হয় না। প্রার্থীর সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই, তবে ১৭৫ জনকে বিপক্ষে ভোট দিতে হয়।
আরও পড়ুন : সিরিয়ায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ২
উল্লেখ্য, লৈঙ্গিক সমতায় বিশ্বে উদাহরণ হয়ে থাকলেও সুইডেনে কখনোই নারী প্রধানমন্ত্রী ছিল না। তবে নর্ডিক অন্যান্য দেশ যেমন- ডেনমার্ক, নরওয়ে, ফিনল্যান্ড এবং আইসল্যান্ডে নারীরা সরকারের নেতৃত্ব দিয়েছেন।
ওডি/কেএইচআর
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড