ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সায়নী গ্রেফতার

দক্ষিণ এশিয়ার ঘনবসতিপূর্ণ দেশ ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি শাসিত রাজ্য ত্রিপুরায় গ্রেফতার হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ও অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ। তৃণমূলের অভিযোগ বিজেপি শাসিত রাজ্য বিশৃঙ্খলা চলছে। রাজ্যটিতে বারংবার সহিংসতার ঘটনা ঘটছে অভিযোগ করে দলটি বিষয়টি নয়াদিল্লিতে উপস্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

রবিবার (২১ নভেম্বর) দিবাগত রাতেই কলকাতা থেকে দিল্লি যাচ্ছেন তৃণমূলের ১৫ জনেরও অধিক আইনপ্রণেতা। তারা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে ত্রিপুরায় সহিংসতা নিয়ে আলোচনার জন্য সাক্ষাতের সুযোগ চেয়েছেন। তৃণমূল কংগ্রেস জানিয়েছে সোমবার (২২ নভেম্বর) সকালে তারা দিল্লিতে ধর্নায় বসবেন।

এদিন ত্রিপুরায় যাচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার ভাইপো ও দলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

গেল রবিবার যুব তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান সায়নী ঘোষকে গ্রেফতার করে ত্রিপুরা পুলিশ। দলটির অভিযোগ সায়নীর ওপর হামলা চালিয়েছে বিজেপির গুন্ডারা। আগরতলা পুলিশ স্টেশনে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নেওয়া হলে এই আক্রমণ চালানো হয় বলে দাবি তাদের।

সায়নী ঘোষের সঙ্গে ছিলেন দলের অন্য নেতারা। এদের মধ্যে এমপি সুস্মিতা দেব, সুবল ভৌমিক ও কুনাল ঘোষও ছিলেন। তৃণমূলের অভিযোগ তাদের সবার ওপরই পূর্ব আগরতলা নারী পুলিশ স্টেশনের অভ্যন্তরে হামলা হয়েছে। ভয়াবহ ওই হামলায় দলের ছয় সমর্থক আহত হয়েছে।

আরও পড়ুন : মেক্সিকোতে ৩৭ বাংলাদেশিসহ ছয়শ অভিবাসী আটক

অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপির দাবি সায়নী ঘোষ শনিবার ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের এক জনসভায় বিশৃঙ্খলা তৈরি করেছেন। বিজেপি বলছে, সায়নী জনসভায় পাথর ছুড়েছেন।

প্রশাসনের দাবি, সায়নী ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় পুলিশ স্টেশনের বাইরে সমবেত মানুষের ওপর কিছু অজ্ঞাত দুষ্কৃতিকারী হামলা চালিয়েছে। তবে এতে কেউ আহত হয়নি।

এরপর সায়নী ঘোষকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টা এবং মানুষের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টির অভিযোগ আনা হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস বলছে তাকে জামিন অযোগ্য ধারায় অভিযুক্ত করা হয়েছে।

আরও পড়ুন : যুক্তরাজ্যে করোনার থাবায় সপ্তাহে সহস্রাধিক মৃত্যু

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের রাজ্য নির্বাচন সামনে রেখে ত্রিপুরায় নিজেদের ভিত্তি তৈরি করতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলটির নেতারা ত্রিপুরায় প্রবেশের পর বেশ কয়েকবার আক্রমণের শিকার হয়েছেন। আগামী ২৫ নভেম্বর রাজ্যটির স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে তৃণমূল কংগ্রেস।

ওডি/কেএইচআর