• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

চলতি বছরেই ইরাক অভিযানের ইতি টানবে যুক্তরাষ্ট্র

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২১ নভেম্বর ২০২১, ১৩:৫৪
চলতি বছরেই ইরাক অভিযানের ইতি টানবে যুক্তরাষ্ট্র
ইরাকি ভূখণ্ড থেকে দেশে ফিরে যাচ্ছেন মার্কিন সেনারা (ছবি : আল-জাজিরা)

চলতি বছর শেষের আগেই মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধবিধ্বস্ত রাষ্ট্র ইরাকে সামরিক মিশন সম্পন্ন করবে যুক্তরাষ্ট্র। শনিবার (২০ নভেম্বর) ইরাকের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জুমাহ ইনাদের সঙ্গে বৈঠকে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। রবিবার (২১ নভেম্বর) করা প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআই।

এর আগে চলতি বছরের জুলাই মাসে ২০২১ সালের মধ্যেই ইরাকে সামরিক অভিযান সমাপ্তির ঘোষণা দিয়েছিল ওয়াশিংটন। হোয়াইট হাউসে ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মুস্তফা আল-খাদেমির সঙ্গে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বৈঠকের পর সে সময় জানানো হয়েছিল, চলতি বছরের শেষ নাগাদ মার্কিন সামরিক বাহিনী ইরাকের ভূখণ্ড ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে দেশে ফিরে যাবে।

অবশ্য এরপরও ইরাকের সামরিক বাহিনীকে প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেওয়া অব্যাহত রাখবে ওয়াশিংটন। ইরাকে বর্তমানে আড়াই হাজার মার্কিন সৈন্য অবস্থান করছেন। মূলত দেশটিতে তাদের মূল কাজ হচ্ছে সশস্ত্র জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে ইরাকি নিরাপত্তা বাহিনীকে সহায়তা করা।

শনিবার বিবৃতির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, চলতি বছরের মধ্যেই ইরাকে মার্কিন বাহিনীর সামরিক ভূমিকা শেষ করাসহ ২০২১ সালের জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্র-ইরাক কৌশলগত সংলাপের সকল প্রতিশ্রুতি রক্ষায় কাজ করছে ওয়াশিংটন।

আরও পড়ুন : সৌদির কাছে অস্ত্র বিক্রি ঠেকাতে তৎপর মার্কিন সিনেটররা

ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, বাহরাইনের মানামায় বার্ষিক মানামা সংলাপের সাইডলাইনে ইরাকের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জুমাহ ইনাদ সুদান আল-জাবুরির সঙ্গে শনিবার বৈঠক করেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। বৈঠকের পরপরই দেওয়া বিবৃতিতে চলতি বছরের মধ্যেই ইরাকে সামরিক মিশন সম্পন্নের কথা জানায় পেন্টাগন।

বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটিতে সামরিক মিশন সম্পন্নের পরও ইরাকি সেনাবাহিনীকে প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেওয়া অব্যাহত রাখবে মার্কিন সামরিক বাহিনী। যদিও ইরাক সরকারের আমন্ত্রণ পেলেই কেবল যুক্তরাষ্ট্র এই কাজে যুক্ত হবে বলেই ইরাকি প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে জানিয়েছেন লয়েড অস্টিন।

গত বছরের শুরুতে বাগদাদে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কমান্ডার জেনারেল কাশেম সোলাইমানি এবং ইরান-সমর্থিত শিয়া মিলিশিয়া বাহিনীর কমান্ডারকে ড্রোন হামলার মাধ্যমে হত্যা করেছিল মার্কিন বাহিনী। মূলত এরপর থেকে ইরাকে মার্কিন বাহিনীর উপস্থিতি একটি বড় ইস্যুতে পরিণত হয়েছে।

আরও পড়ুন : ইসরায়েলের সঙ্গে প্রথমবারের মতো নৌ মহড়ায় বাহরাইন-আমিরাত

ইরান ঘনিষ্ঠ ইরাকি রাজনৈতিক দলগুলো এরপর থেকেই মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সকল সৈন্য প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছে। যদিও জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটকে ইরাকের জন্য এখনো হুমকি বলে বিবেচনা করছেন অনেকে।

এর আগে গেল বছরের শেষ দিকে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরাক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্য কমিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছিলেন। মূলত তার এই ঘোষণার পর প্রায় ৫০০ সৈন্যকে মার্কিন ভূখণ্ডে ফিরিয়ে নেওয়া হয়। বর্তমানে ইরাকে অন্তত আড়াই হাজার মার্কিন সৈন্য অবস্থান করছেন বলে গত জুলাই মাসে ব্রিটিশ মিডিয়া বিবিসি নিউজের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছিল।

আরও পড়ুন : মার্কিন সংবিধানের মূল কপি ৩৬৯ কোটি টাকায় বিক্রি

অবশ্য ২০১১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ইরাক থেকে মার্কিন সেনাবাহিনীর সদস্যদের প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন। পরবর্তীকালে পরিস্থিতি বিবেচনায় দেশটিতে নিরাপত্তা শূন্যতা তৈরি হয় এবং জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের উত্থান ঘটে। যে কারণে ২০১৪ সালে আবারও দেশটিতে সৈন্য মোতায়েন করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

ওডি/কেএইচআর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড