• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৬ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

ব্রিটেনে সম্মানজনক সন পদকে ভূষিত বাংলাদেশি স্থপতি মেরিনা

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১৭ নভেম্বর ২০২১, ১৩:০৭
ব্রিটেনে সম্মানজনক সন পদকে ভূষিত বাংলাদেশি স্থপতি মেরিনা
ব্রিটেনে সন পদকে ভূষিত বাংলাদেশি স্থপতি মেরিনা তাবাসসুম (ছবি : বিবিসি নিউজ)

যুক্তরাজ্যের মর্যাদাপূর্ণ সন পদক-২০২১ জিতে নিয়েছেন বাংলাদেশের স্থপতি মেরিনা তাবাসসুম। লন্ডনের স্যার জন সন জাদুঘর কর্তৃপক্ষ প্রতি বছর একজন স্থপতিকে তার কাজের মূল্যায়ন ও স্বীকৃতি স্বরূপ এ পুরস্কারে ভূষিত করে।

মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) স্থানীয় সময় রাতে পুরস্কারটির ঘোষণা দেওয়া হয়। এর আগে বিরল এই সম্মানে ভূষিত হয়েছিলেন রাফায়েল মনেও, ডেনিস স্কট ব্রাউন এবং কেনেথ ফ্রাম্পটনের মতো খ্যাতিমান স্থপতি।

বাংলাদেশের উপকূলের মানুষের প্রকৃতির সঙ্গে লড়াইটা অন্য রকম, বিশেষ করে- বর্ষা মৌসুমে, তবে মাঝে মাঝে এমন কিছু ঘটনা ঘটে যা তাদের জীবনকে আনন্দময় করে তোলে। বছরের জুন থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত গাঙ্গেয় বদ্বীপ অঞ্চল যেখানে দেশের তিনটি প্রধান নদী একত্র হয়; সেখানকার পানি ফুলে ফেঁপে উঠে। নদীর পানি উপচে সৃষ্ট বন্যা বিপর্যয় ডেকে আনে।

হিমালয় থেকে হিমবাহের প্রবাহের সঙ্গে যুক্ত হয় প্রবল বৃষ্টিপাত। বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে হিমবাহ গলে যাওয়ার হার আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ লেগেই থাকে। বন্যার কবলে পড়ে রাতারাতি ঘরবাড়ি, জীবিকা হারিয়ে যায়। অনেক সময় পলি জমে সৃষ্টি হয় নতুন ভূমি, যাকে বলা হয় ‘চর’।

মেরিনা তাবাসসুমের কাছে, এটা সত্যিকার অর্থে ভূমি নয়। তিনি আরও বলেন, এটাকে ভূমি বলা যায় না। এটা ভেজা। এটা নদীর অংশ। কিন্তু কয়েক বছর পর এটা আশ্রয়হীন মানুষের কাছে পরিত্রাণের জায়গা হয়ে ওঠে। এটাই তাদের মাছ ধরার, চাষাবাদ করার ও পরিবার নিয়ে থাকার সুযোগ করে দেয়।

আরও পড়ুন : মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ ৯৫ অভিবাসী আটক

মেরিনা এই বদ্বীপ অঞ্চল নিয়ে কাজ করা শুরু করেন গত বছর যখন মহামারি করোনা ভাইরাসের ভয়াল তাণ্ডবের মধ্যে মানুষের জীবন স্থবির হয়ে পড়ে। তিনি ঢাকায় বসে পরিকল্পনা করে ফেলেন কিভাবে ভাগ্যের বদল ঘটানো যায় এসব প্রতিকূল পরিবেশে থাকা মানুষগুলোর।

তিনি বলেছেন, একজন স্থপতি হিসেবে এসব লোকজনের প্রতি আমাদের দায়িত্ব রয়েছে। অবকাঠামোগত শিল্পায়ন বৈশ্বিক কার্বন নিঃসরণের ক্ষেত্রে অর্ধেক অবদান রাখে। যদিও উপকূলীয় অঞ্চলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের এতে ভূমিকা শূন্য।

সম্প্রতি জলবায়ু বিষয়ক শীর্ষ সম্মেলন (কপ-২৬) শেষ হওয়ার পরপরই মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্যার জন সন জাদুঘর কর্তৃপক্ষ তার এই ধারণার প্রতি সম্মান জানিয়ে সন পুরস্কারে ভূষিত করল তাকে।

উল্লেখ্য, মেরিনা ১৯৬৯ সালে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা পেশায় একজন চিকিৎসক ছিলেন। ১৯৯৫ সালে তিনি স্থপতি বিদ্যায় স্নাতক সম্পন্ন করেন।

আরও পড়ুন : মিয়ানমারের বন্দিদশা থেকে মুক্ত হয়েই দেশে ফিরলেন মার্কিন সাংবাদিক

মেরিনা সুলতানি আমলের স্থাপত্যের আদলে নকশা করেন বায়তুর রউফ মসজিদ। এটি ২০১২ সালে ঢাকায় নির্মিত হয়। শৈল্পিক নকশার এই মসজিদের জন্য ২০১৮ সালে স্থপতি হিসেবে জামিল প্রাইজ অর্জন করেন তিনি। এর আগে একই নকশার জন্য ২০১৬ সালে তিনি সম্মানজনক আগা খান পুরস্কারে ভূষিত হন।

সূত্র : দ্যা গার্ডিয়ান

ওডি/কেএইচআর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড