• মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৬ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

উত্তেজনার মাঝেই বৈঠকে বাইডেন-জিনপিং

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১৬ নভেম্বর ২০২১, ১০:৪৯
উত্তেজনার মাঝেই বৈঠকে বাইডেন-জিনপিং
চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (ছবি : সিএনএন)

পারস্পরিক তিক্ততা দূর করতে দ্বিপাক্ষিক ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মাঝেই বৈঠকে বসেছেন বিশ্বের ক্ষমতাধর রাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং এশিয়ার পরাশক্তি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর জিনপিংয়ের সঙ্গে এবারই প্রথম বৈঠকে বসলেন বাইডেন। সোমবার (১৫ নভেম্বর) বহুল আকাঙ্ক্ষিত বৈঠকটি ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠিত হয়।

মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যমে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এবং কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে, উভয় নেতা এমন এক সময়ে বৈঠকে বসলেন যখন তাইওয়ান, হংকং এবং উইঘুর ইস্যুতে বেইজিংয়ের আচরণ নিয়ে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ক্রমাগত খারাপের দিকে যাচ্ছে।

এ দিকে উন্মুক্ত সংঘর্ষ এড়াতে যোগাযোগ স্থাপন করা প্রয়োজন বলে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের প্রতি বার্তা দিয়েছেন জো বাইডেন। হোয়াইট হাউসে বসে একটি টেলিভিশন স্ক্রিনে জিনপিংয়ের সঙ্গে আলোচনার সময় বাইডেন বলেন, ইচ্ছাকৃত হোক বা অনিচ্ছাকৃতভাবেই হোক না কেন, আমাদের দেশগুলোর মধ্যে বড় একটি প্রতিযোগিতা রয়েছে। তবে সেই প্রতিযোগিতা যেন সংঘর্ষের দিকে না যায় তা নিশ্চিতের জন্য আমাদের অবশ্যই সীমারেখা তৈরি করতে হবে।

অপর দিকে বেইজিং থেকে চীনা প্রেসিডেন্ট দাবি করেন, উভয় দেশ বর্তমানে বহু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে। এ সময় তিনি প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে নিজের ‘পুরনো বন্ধু’ বলে আখ্যায়িত করেন এবং প্রতিদ্বন্দ্বী এই দুই পরাশক্তিকে আরও ঘনিষ্ঠভাবে একত্রে কাজ করার জন্যও মন্তব্য করেন।

আরও পড়ুন : ‘আগ্রাসন রুখতে সর্বাধুনিক নৌ প্রযুক্তি রয়েছে ইরানের’

শি জিনপিংয়ের ভাষায়, বেইজিং এবং ওয়াশিংটনকে অবশ্যই নিজেদের ভেতরে যোগাযোগ ও সহযোগিতা আরও বাড়াতে হবে। শত্রুদের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে হয়।

উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে দক্ষিণ চীন সাগরে তাইওয়ান নিয়ে বৈশ্বিক এই দুই পরাশক্তির মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে রয়েছে। তাইওয়ানকে শুরু থেকেই নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করে আসছে চীন। সম্প্রতি তাইওয়ানের আকাশসীমা লঙ্ঘন থেকে শুরু করে একাধিক সামরিক শক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে বেইজিং।

বিশ্লেষকদের মতে, দক্ষিণ চীন সাগরে বর্তমানে যুদ্ধের পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আর তাইওয়ান নিজেদের স্বাধীনতা হারানোর শঙ্কায় রয়েছে। সংকটময় এমন পরিস্থিতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছিলেন, চীনের হাত থেকে তাইওয়ানকে রক্ষা করতে বদ্ধপরিকর যুক্তরাষ্ট্র। আর ওয়াশিংটনের এই ঘোষণায় কোনোভাবেই সন্তুষ্ট ছিল না বেইজিং।

আরও পড়ুন : ‘বিলিয়ন নয় জলবায়ু-সংকট নিরসনে চাই কয়েক ট্রিলিয়ন ডলার’

এমন পরিস্থিতিতে দুই শীর্ষ নেতার বৈঠক প্রসঙ্গে মার্কিন কর্মকর্তাদের বক্তব্য, বাইডেন এই বৈঠকে একটি শক্তিশালী জায়গা থেকে অংশ নিচ্ছেন। চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি সীমারেখা বা গার্ডরেল থাকুক যা উভয় দেশই মেনে চলবে এবং সংঘাত এড়ানো সম্ভব হবে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মূলত এটিই নিশ্চিত করবেন।

ওডি/কেএইচআর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড