• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৪ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

ফাঁসির আসামির আয়ু বাড়ালো করোনা!

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

০৯ নভেম্বর ২০২১, ২১:৫৭
নগেনথ্রান ধর্মলিঙ্গম
নগেনথ্রান ধর্মলিঙ্গম। (ছবি: সংগৃহীত)

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় সিঙ্গাপুরে এক ফাঁসির আসামির দণ্ড কার্যকর পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। নগেনথ্রান ধর্মলিঙ্গম নামে ওই আসামিকে বুধবার সকালেই ফাঁসির দড়িতে ঝোলানোর কথা ছিল। কিন্তু মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) স্থানীয় একটি আদালত ‘সাধারণ বিবেচনা ও মানবতার’ খাতিরে তার দণ্ড কার্যকর পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত করেছেন।

জানা যায়, ৩৩ বছর বয়সী নগেনথ্রান মালয়েশীয় নাগরিক। ২০০৯ সালের এপ্রিলে মাদক মামলায় গ্রেফতার হন তিনি। ৪২ দশমিক ৭২ গ্রাম হেরোইন পাওয়ায় তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন সিঙ্গাপুরের আদালত। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ঝুলে রয়েছে তার দণ্ড কার্যকরের বিষয়টি।

সম্প্রতি একটি চিঠির জেরে নগেনথ্রানের ইস্যুটি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোচনায় আসে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী, জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ, ব্রিটিশ বিলিয়নিয়ার রিচার্ড ব্র্যানসনসহ আরও অনেকে তার সাজা লঘু করার আহ্বান জানিয়েছেন। তবে তাদের অনুরোধে না হলেও শেষ মুহূর্তে করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় আরও কিছুদিন বাঁচার সুযোগ পাচ্ছেন নগেনথ্রান।

মঙ্গলবার নগেনথ্রানের একটি আপিল নিষ্পত্তির জন্যই মূলত সমবেত হয়েছিলেন বিচারপতিরা। আইনজীবীর দাবি, তার মক্কেল মানসিকভাবে পুরোপুরি সুস্থ নন, এ জন্য নগেনথ্রানের মৃত্যুদণ্ড বাতিল করা হোক। তবে ফাঁসির একদিন আগে আসামি করোনা পজিটিভ থাকায় মানবিক কারণে সাজা কার্যকর স্থগিত করেন আদালত।

নগেনথ্রানের আইনজীবী এম রবি বলেছেন, পরবর্তী কাজের জন্য প্রস্তুত হতে এখন তারা আরও কিছুদিন সময় পাচ্ছেন। তার কথায়, করোনাভাইরাস মারার বদলে তাকে (নগেনথ্রান) এই পৃথিবীতে আরও কিছুদিন বেঁচে থাকার সুযোগ করে দিয়েছে।

বিশ্বের মধ্যে অন্যতম কঠোর মাদক আইন রয়েছে সিঙ্গাপুরে। ২০০৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত নগররাষ্ট্রটি অন্তত ২৫ জনকে ফাঁসি দিয়েছে। এদের মধ্যে বেশিরভাগই মাদক মামলার আসামি ছিলেন।

ওডি/জেআই

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড