• মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১  |   ৩০ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

ইয়েমেনে সৌদি জোটের হামলায় ১৫৭ হুথি যোদ্ধা নিহত

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

০৭ নভেম্বর ২০২১, ১৫:৩৮
ইয়েমেনে সৌদি জোটের হামলায় ১৫৭ হুথি যোদ্ধা নিহত
সৌদি জোটের বিমান হামলায় বিধ্বস্ত ইয়েমেনি গ্রাম (ছবি : আল-জাজিরা)

মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধবিধ্বস্ত রাষ্ট্র ইয়েমেনে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের ভয়াবহ বিমান হামলায় ১৫৭ হুথি বিদ্রোহী যোদ্ধা প্রাণ হারিয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন বাহিনীর আরও অনেক সদস্য। দেশটির উত্তরাঞ্চলের তেল-গ্যাস সমৃদ্ধ মারিব শহরের কাছে চালানো আক্রমণে হতাহতের ঘটনাগুলো ঘটে।

শনিবার (৬ নভেম্বর) সংবাদমাধ্যম আরব নিউজ এবং ডব্লিউআইওএনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, এর আগে গত ২৮ অক্টোবর মারিব শহরের কাছে চালানো পৃথক হামলায় ৯৫ হুথি বিদ্রোহী যোদ্ধা নিহতের তথ্য জানানো হয়েছিল।

সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা এসপিএয়ের তথ্য মতে, সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট শনিবার বিবৃতির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সেখানে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ইয়েমেনের মারিব শহরের কাছে চালানো আক্রমণে ১৫৭ জনেরও বেশি হুথি বিদ্রোহী নিহত হয়েছেন। একই সঙ্গে জোটের হামলায় ১৪টি সামরিক যানও ধ্বংস হয়ে গেছে।

বিশ্লেষকদের মতে, তেল-সমৃদ্ধ মারিব প্রদেশের দুটি পৃথক স্থানে চালানো আক্রমণে হুথি বিদ্রোহীদের প্রাণহানির ঘটনাগুলো ঘটেছে। ওই স্থান দুটি হচ্ছে- মারিবের উত্তরে অবস্থিত আল-জাওয়াফ এবং দক্ষিণে অবস্থিত আল-বাইদা। এছাড়া মারিব শহরের পশ্চিমে অবস্থিত সিরওয়াহ এলাকাতেও গোলাবর্ষণ করে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের যুদ্ধবিমান।

সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের দাবি, গত ১১ অক্টোবর থেকে মারিব ও এর আশপাশে চালানো বিমান হামলায় প্রায় দুই হাজার হুথি বিদ্রোহীকে হত্যা করা হয়। কিন্তু ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা নিজেদের ক্ষয়ক্ষতির কথা খুব কমই প্রকাশ করে থাকে। আর তাই হুথি বিদ্রোহীদের হত্যার ব্যাপারে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের দাবিটিকে স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি।

আরও পড়ুন : ড্রোন হামলা থেকে প্রাণে বাঁচলেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী

এর আগে গত ২৮ অক্টোবর ইয়েমেনের সৌদি সমর্থনপুষ্ট সরকার বিবৃতির মাধ্যমে মারিব অঞ্চলের পার্শ্ববর্তী আল-জাওবা এবং আল-কাসারা নামক দুটি জেলায় বিদ্রোহীদের অবস্থানে বিমান থেকে গোলাবর্ষণের মাধ্যমে ২২টি পৃথক অভিযান পরিচালনার কথা জানায়। এসব হামলায় ৯৫ জন হুথি বিদ্রোহী নিহত এবং ১১টি সামরিক যান ধ্বংস হয় বলে সে সময় দাবি করা হয়েছিল।

২০১৫ সালের শুরুর দিকে হুথি বিদ্রোহীদের আক্রমণের মুখে সৌদি সমর্থিত ইয়েমেনের ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট আব্দ রাব্বু মনসুর আল হাদি ক্ষমতা ছেড়ে সৌদি আরবে পালিয়ে যান। মূলত এরপর থেকেই ক্ষমতাচ্যুত ওই প্রেসিডেন্টকে দেশে ফেরত পাঠাতে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ইয়েমেনে হুথিদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে।

ভয়ঙ্কর সেই অভিযান শুরুর পর ইয়েমেনের রাজনৈতিক সংকটের অবসান হওয়ার পরিবর্তে তা আরও তীব্র হয়ে ওঠে। বর্তমানে ইয়েমেনে কার্যত দুই শাসকগোষ্ঠী সক্রিয় রয়েছে। সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সামরিক সহযোগিতার ওপর ভর করে দেশটির দক্ষিণাঞ্চল এখনো মনসুর হাদির নেতৃত্বাধীন সরকারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অপর দিকে উত্তরাঞ্চল সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে হুথি বিদ্রোহীরা।

আরও পড়ুন : ফের তাইওয়ানে নিজেদের ক্ষমতা দেখাল চীন

উল্লেখ্য, ইয়েমেনের এই সংঘাতকে মধ্যপ্রাচ্যে আধিপত্যের লড়াইয়ে সৌদি-ইরানের ‘ছায়াযুদ্ধ’ হিসেবে দেখা হয়। দীর্ঘ সময় যাবত চলা গৃহযুদ্ধ ও টানা সংঘাতের ফলে বর্তমানে প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ এবং এক সময়ের সচ্ছল এই দেশ।

ওডি/কেএইচআর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড