আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধবিধ্বস্ত রাষ্ট্র ইয়েমেনে ২০১৫ সালের পর থেকে চলমান যুদ্ধে এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছে প্রায় ১০ হাজার শিশু। দেশটিতে ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীদের হাতে সরকারের উচ্ছেদের পর থেকে বিভিন্ন সংঘর্ষে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের পাঠানো তথ্যের বরাতে আরব নিউজের করা প্রতিবেদনে তথ্যটি জানানো হয়।
ইয়েমেন সফর শেষে জেনেভায় জাতিসংঘের ব্রিফিংয়ে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন ইউনিসেফের মুখপাত্র জেমস এল্ডার। সেখানে তিনি বলেন, আরও একটি লজ্জাজনক মাইলফলক ছুঁয়েছে ইয়েমেনের সংঘাত। ২০১৫ সালের পর থেকে দেশটিতে এ পর্যন্ত ১০ হাজার শিশু প্রাণ হারিয়েছে অথবা পঙ্গু হয়েছে।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী- দেশটিতে প্রতিদিন গড়ে চারজন শিশু প্রাণ হারায়। এমনকি অনেক শিশুর মৃত্যু বা আহতের খবর অপ্রকাশিত থেকে গেছে।
আরও পড়ুন : মাছ নিয়ে যায় ভারত, প্রতিবাদে সরব লঙ্কান জেলেরা
তিনি আরও বলেন, ইয়েমেনের প্রত্যেক পাঁচজন শিশুর মধ্যে চারজনের মানবিক সহায়তা প্রয়োজন। দেশটিতে চার লাখ শিশু মারাত্মক রকমের অপুষ্টিতে ভুগছে এবং ২০ লাখ শিশু পড়ালেখা থেকে বঞ্চিত রয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, ২০১৪ সালে হুথি বিদ্রোহীরা ইয়েমেনের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারকে উৎখাতের মাধ্যমে দেশটির উত্তরাঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে। ২০১৫ সালে ইয়েমেনি সরকারকে সহযোগিতা এবং বিদ্রোহীদের দমনের লক্ষ্যে ইয়েমেন যুদ্ধে যোগ দেয় ইসলামিক রাষ্ট্র সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট। এরপর তাদের এই অভিযানে ইয়েমেনের হাজার হাজার বেসামরিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল। এছাড়া ঘরবাড়ি হারিয়েছেন আরও কয়েক লাখ মানুষ।
জাতিসংঘের তথ্য মতে, বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ মানবিক সংকট চলছে ইয়েমেনে। দেশটির ৮০ শতাংশ মানুষেরই জরুরি ত্রাণ সহায়তা প্রয়োজন বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
আরও পড়ুন : জাপান প্রণালীতে চীন-রাশিয়ার ১০ যুদ্ধজাহাজ
উল্লেখ্য, সৌদি জোটের বিরুদ্ধে চলমান লড়াইয়ে হুথি বিদ্রোহীদের ইরান অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে সহযোগিতা করছে বলে অভিযোগ করে আসছে রিয়াদ। ইয়েমেন যুদ্ধে জড়ানোর পর গেল কয়েক বছরে তারাও বেশ কয়েকবার সীমান্ত এলাকায় হামলার শিকার হয়েছে। সম্প্রতি সৌদির বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে আক্রমণের চেষ্টা বাড়িয়ে দিয়েছে হুথি বিদ্রোহীরা।
ওডি/কেএইচআর
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড