আন্তর্জাতিক ডেস্ক
এশিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় দেশ জাপানের মূল ভূখণ্ড এবং উত্তরাঞ্চলীয় হোক্কাইডো দ্বীপ পৃথককারী সুগারু প্রণালী অতিক্রম করেছে এশিয়ার পরাশক্তি চীন এবং ক্ষমতাধর রাষ্ট্র রাশিয়ার নৌবাহিনীর ১০টি যুদ্ধজাহাজ। যদিও এই কার্যক্রম নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে টোকিও সরকার।
মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে দেশটির উপ প্রধান মন্ত্রিপরিষদ সচিব ইয়োশিহিকো ইসোজাকি বলেছেন, সরকার অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে জাপানের আশপাশে রাশিয়া এবং চীনা নৌবাহিনীর জাহাজের কার্যক্রম নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে জাপানের জলপথ ও আকাশ সীমায় আমাদের নজরদারির প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখব।
সুগারু প্রণালীতে চীন এবং রাশিয়ার নৌবাহিনীর জাহাজ একসঙ্গে চলাচলের বিষয়টি প্রথমবারের মতো নিশ্চিত করেছে জাপান। প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল থেকে জাপান সাগরকে প্রণালীটি পৃথক করেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, আন্তর্জাতিক জলপথ হিসাবে প্রণালীটিকে বিবেচনা করা হলেও পূর্ব চীন সাগরের কয়েকটি ছোট ছোট দ্বীপ নিয়ে চীনের সঙ্গে জাপানের দীর্ঘদিনের বিরোধ রয়েছে। এমনকি মস্কোর সঙ্গেও টোকিওর আঞ্চলিক বিরোধ রয়েছে।
আরও পড়ুন : যুক্তরাষ্ট্রে বিমান বিধ্বস্ত : অলৌকিকভাবে ২১ আরোহীর প্রাণ রক্ষা
জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, রাশিয়া এবং চীনের জাহাজগুলো জাপানের আঞ্চলিক জলসীমা লঙ্ঘন করেনি। এমনকি কোনো আন্তর্জাতিক নিয়মও ভাঙেনি।
এর আগে গেল ১৪ থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত জাপান সাগরে যৌথ নৌ মহড়া চালিয়েছে বেইজিং এবং মস্কো। রাশিয়ার প্রশান্ত মহাসাগরীয় যুদ্ধজাহাজ এবং সাপোর্ট জাহাজ এই নৌ মহড়ায় অংশ নেয়।
আরও পড়ুন : পদ ছাড়লেন আফগানিস্তান বিষয়ক শীর্ষ মার্কিন কূটনীতিক
উল্লেখ্য, পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটায় সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সামরিক এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করেছে রাশিয়া এবং চীন।
সূত্র : রয়টার্স
ওডি/কেএইচআর
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড