সিডনিতে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিন প্রত্যাহার

চলতি বছরের নভেম্বর মাস থেকে মহামারি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধী টিকার ডোজ সম্পন্ন করা ভ্রমণকারীদের জন্য সিডনিতে কোয়ারেন্টিনের বাধ্যবাধকতা তুলে নেওয়া হচ্ছে। যদিও বিষয়টি এখনো ফেডারেল অনুমতির অপেক্ষায়।

ব্রিটিশ মিডিয়া বিবিসি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) ঘোষণা করা নিউ সাউথ ওয়েলসের পরিকল্পনার বিষয়ে এখনো সাড়া দেননি। তবে যদি এটি অনুমতি পায় তাহলে কোভিড মহামারির পর অস্ট্রেলিয়া ভ্রমণের এটিই প্রথম পদক্ষেপ হবে, ভ্রমণকারীদের জন্য।

নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রধান ডোমেনিক পেরোটে বলেন, আগামী ১ নভেম্বর থেকে নিউ সাউথ ওয়েলস ও সিডনি সবার জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে। আমরা নিশ্চিত করে বলতে চাই, আমরা সবাইকে সমান চোখে দেখি এবং যদি আপনি পুরোপুরি টিকাগ্রহণ করেন তাহলে এই চমৎকার রাজ্যে আপনি আসতে পারেন।

বিশ্লেষকদের মতে, ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে অস্ট্রেলিয়া করোনা ঠেকাতে সীমান্ত বন্ধ করে দেয়। এটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ এবং স্থায়ী বাসিন্দাদের জন্য শুধু প্রবেশ খোলা রেখেছিল, তবে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন ছিল বাধ্যতামূলক।

আরও পড়ুন : ইয়েমেনে সৌদির বিমান হামলায় নিহত ১৩৪

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন গত মাসে ইঙ্গিত দিয়ে বলেছিলেন, নভেম্বরের দিকে পরিবর্তন আসতে পারে সীমান্ত খোলার বিষয়টি নিয়ে, যারা দেশের বাইরে যেতে চান বা বাইরে থেকে আসতে চান।

এর আগে ১০৬ দিন পর সিডনির লকডাউন তুলে নেয় কর্তৃপক্ষ। অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম বড় শহর সিডনিকে পুরোপুরি কাবু করে ফেলেছিল করোনার শক্তিশালী ধরন ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট। প্রাণঘাতী ভাইরাসটির তাণ্ডব ঠেকাতে দ্রুত পদক্ষেপ নেয় কর্তৃপক্ষ। জারি করা হয় লকডাউন। শহরটির ৫০ লাখ মানুষ লকডাউনের মধ্যে ছিলেন।

অবশেষে ১০৬ দিন পর সোমবার (১১ অক্টোবর) স্থানীয় সময় সকালে তুলে নেওয়া হয় লকডাউন। ঘরবন্দি জীবন থেকে বেরিয়ে এখন সিডনির যে কোনো বাসিন্দা যারা টিকার ডোজ সম্পন্ন করেছেন, তারা চাইলে বের হতে পারছেন। তারা যেতে পারছেন ক্যাফে, রেস্টুরেন্ট, দোকান বা স্যালুনে।

আরও পড়ুন : বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ৪৯ লাখ ছুঁইছুঁই

উল্লেখ্য, চলতি বছর জুন মাসে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে যাওয়া বন্ধ ছিল সিডনিতে। বাসিন্দারা সর্বোচ্চ পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে যেতে পারতেন। দোকান পাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্যালুন, ক্যাফে, রেস্টুরেন্ট সবই বন্ধ ছিল। অনেকটা গৃহবন্দি হয়ে পড়েন শহরটির বাসিন্দারা। অনেকে হতাশার মধ্যে পড়েন। লকডাউন তুলে নিতে সিডনির রাস্তায় আন্দোলনও করেন শহরটির বহু মানুষ।

ওডি/কেএইচআর