• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৯ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

ইয়েমেনে সৌদির বিমান হামলায় নিহত ১৩৪

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১৩ অক্টোবর ২০২১, ১৪:০৯
ইয়েমেনে সৌদির বিমান হামলায় নিহত ১৩৪
ইয়েমেনের আকাশে অভিযান চালাচ্ছে সৌদি জোটের যুদ্ধবিমান (ছবি : রয়টার্স)

মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধবিধ্বস্ত রাষ্ট্র ইয়েমেনের পূর্বাঞ্চলীয় মারিব প্রদেশে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের বিমান হামলায় হুথি বিদ্রোহীদের অন্তত ১৩৪ সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন। মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) সৌদি জোট থেকে পাঠানো বিবৃতিতে বিমান হামলায় হুথিদের এই প্রাণহানি ঘটেছে বলে নিশ্চিত করা হয়।

যদিও বিদ্রোহীরা কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ শহর মারিবের দক্ষিণের একটি জেলার ২৫ কিলোমিটার এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নিয়েছে বলে জানিয়েছে সামরিক সূত্রগুলো। গত মাসে মারিবে নতুন করে লড়াই শুরু হওয়ার পর থেকে ইরান সমর্থিত শত শত হুথি বিদ্রোহী এবং সরকারের অনুগত বাহিনীর সদস্যের প্রাণহানি ঘটছে।

বিশ্লেষকদের মতে, তেল সমৃদ্ধ ইয়েমেনের উত্তরাঞ্চলীয় মারিব শহর আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত দেশটির ক্ষমতাসীন সরকার নিয়ন্ত্রিত সর্বশেষ ঘাঁটি। একদিন আগে মারিব প্রদেশের আবদিয়া জেলায় কয়েক ডজন যুদ্ধবিমান দিয়ে হামলা চালিয়েছিল সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট। ভয়াবহ ওই হামলায় দেড় শতাধিক বিদ্রোহী প্রাণ হারান।

মঙ্গলবার জোট থেকে পাঠানো বিবৃতির বরাতে সৌদির সরকারি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, আমরা মারিবের আবদিয়ায় হুথি বিদ্রোহীদের ৯টি সামরিক যান লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছি। এতে বিদ্রোহীদের ১৩৪ জনের প্রাণ গেছে।

আরও পড়ুন : ইরাকে মোক্তাদা আল সদরের দলের জয়

পরিচয় গোপন রাখার শর্তে ইয়েমেনের সামরিক বাহিনীর একটি সূত্র এএফপিকে বলেছে, মারিব প্রদেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় আল-জাওবাহ জেলার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে হুথি বিদ্রোহীরা। বাহিনীটির সঙ্গে তুমুল সংঘর্ষের পর আল-জাওবাহর চৌকি থেকে সরকারি সৈন্যদের প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।

এলাকাটির স্থানীয় বাসিন্দারা আল-জাওবাহ জেলায় হুথিদের প্রবেশের তথ্য নিশ্চিত করে বলেছেন, তারা দ্রুত সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। গত ফেব্রুয়ারিতে একবার মারিব দখলে অভিযান চালিয়েছিল হুথি বাহিনীর যোদ্ধারা। যদিও সেবার বিপুল সংখ্যক যোদ্ধার প্রাণহানি হওয়ায় কয়েকমাস স্থগিত ছিল তাদের সেই শহর দখল অভিযান।

এসবের কারণে যুদ্ধবিধ্বস্ত রাষ্ট্র ইয়েমেনের মারিবে বাস্ত্যুচুত হয়েছেন প্রায় ১০ লাখ মানুষ। বর্তমানে এসব লোকজনই নতুন সংঘাতের কেন্দ্রে চলে এসেছেন।

আরও পড়ুন : ব্যর্থ আলোচনার পর লাদাখ সীমান্তে চীনা ট্যাংক মোতায়েন

২০১৫ সালের শুরুর দিকে হুথি বিদ্রোহীদের আক্রমণের মুখে সৌদি আরবের সমর্থিত ইয়েমেনের ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট আব্দ রাব্বু মনসুর আল হাদি ক্ষমতা ছেড়ে সৌদির ভূখণ্ডে পালিয়ে যান। ক্ষমতাচ্যুত এই প্রেসিডেন্টকে ফেরাতে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ইয়েমেনে হুথিদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে।

তবে এই অভিযানের শুরুর পর ইয়েমেনের রাজনৈতিক সংকটের অবসান হওয়ার পরিবর্তে তা আরও তীব্র হতে শুরু করে। বর্তমানে ইয়েমেনে কার্যত দুই শাসকগোষ্ঠী সক্রিয় আছে। সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সামরিক সহযোগিতার ওপর ভর করে দেশটির দক্ষিণাঞ্চল এখনো মনসুর হাদির নেতৃত্বাধীন সরকারের নিয়ন্ত্রণে আছে। অপর দিকে উত্তরাঞ্চল এখন পর্যন্ত সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে হুথি বিদ্রোহীরা।

উল্লেখ্য, ইয়েমেনের এই সংঘাতকে মধ্যপ্রাচ্যে আধিপত্যের লড়াইয়ে সৌদি-ইরানের ছায়াযুদ্ধ হিসেবে দেখা হয়। টানা গৃহযুদ্ধ ও সংঘাত চলার ফলে প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ এবং এক সময়ের সচ্ছল এই দেশ।

আরও পড়ুন : আফগানিস্তানে মৌলবাদ ঠেকাতে বলছেন মোদী

জাতিসংঘ বলছে, ইয়েমেনের নারী-শিশুসহ অর্ধেকেরও বেশি মানুষ খাদ্য ও ওষুধের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের গুরুতর সংকটে ভুগছেন।

সূত্র : এএফপি

ওডি/কেএইচআর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড