ইরাকে মোক্তাদা আল সদরের দলের জয়

মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম অধ্যুষিত রাষ্ট্র ইরাকের পার্লামেন্ট নির্বাচনে শিয়া মুসলিম ধর্মীয় নেতা মোক্তাদা আল-সদরের দল বিজয়ী হয়েছে। প্রাথমিক ফলাফলে দেখা গেছে, তার দলের প্রার্থীরাই বেশি আসনে জয় পেয়েছেন। কর্মকর্তারা এবং ‘সদরিস্ট মুভমেন্ট’র এক মুখপাত্র এরই মধ্যে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন। খবর রয়টার্সের।

এবারের ভোটে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নুরি আল-মালিকির দল দেশটির শিয়া দলগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত রবিবার (১০ অক্টোবর) যুদ্ধবিধ্বস্ত রাষ্ট্রটিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সদ্য সমাপ্ত এই ভোটে ৩২৯টি সংসদীয় আসনের বিপরীতে ১৬৭টি দলের তিন হাজার ২০০ এর বেশি প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।

দেশটির রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যমে সরাসরি এক বক্তব্যে মোক্তাদা আল সদর বলেছেন, আমি বিদেশি শক্তি মুক্ত দেশ করার অঙ্গীকার করছি। আমরা (বিদেশি) দূতাবাসের কর্মকর্তাদের আহ্বান জানাব, তারা যেন ইরাকের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক না গলায়। এ সময় বিজয় মিছিলে অস্ত্র ছাড়াই অংশ নিয়ে আনন্দ উদযাপনের জন্য সমর্থকদের প্রতি আহ্বান জানান দেশটির প্রভাবশালী এই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।

২০০৩ সালে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনীর অভিযান সুন্নি মুসলিম প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয় এবং সংখ্যা গরিষ্ঠ শিয়া এবং কুর্দিদের ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করে।

আরও পড়ুন : আফগানিস্তানে মৌলবাদ ঠেকাতে বলছেন মোদী

মূলত তারপর থেকে ইরাকের সরকার ও সরকার গঠনে শিয়া গোষ্ঠীগুলোর আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সাদ্দামের আমলে শিয়া ও কুর্দিরা নিষ্পেষিত ছিল।

২০১৯ সালে গণবিক্ষোভে তৎকালীন সরকারের পতন হওয়ার পর রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি ব্যাপক অসন্তোষ দেখা যায়। অনেক ইরাকিরই অভিযোগ এসব নেতারা রাষ্ট্রীয় অর্থে নিজেরা ধনী হয়েছেন।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ৭০টির বেশি আসনে জয় পেয়েছে আল সদরের দল। এর আগে ২০১৮ সালে তার দলের নেতৃত্বাধীন জোট ৫৪টি আসনে জিতেছিল।

আরও পড়ুন : ব্যর্থ আলোচনার পর লাদাখ সীমান্তে চীনা ট্যাংক মোতায়েন

উল্লেখ্য, এমন পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক সময়ের কয়েক মাস আগেই গেল রবিবার নির্বাচনটি অনুষ্ঠিত হয়। যদিও সে দিন ভোটারের উপস্থিত ছিল অত্যন্ত কম।

ওডি/কেএইচআর