• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩১ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

তাইওয়ানের কাছে সামরিক মহড়া চালাল চীন

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১২ অক্টোবর ২০২১, ১৫:০২
তাইওয়ানের কাছে সামরিক মহড়া চালাল চীন
উপকূলে সামরিক মহড়া চালাচ্ছে চীন (ছবি : সিনহুয়া)

তাইওয়ানের সঙ্গে সাম্প্রতিক উত্তেজনার মধ্যে দ্বীপরাষ্ট্রটির কাছাকাছি অবস্থানে থাকা ফুজিয়ান প্রদেশে সামরিক মহড়া চালিয়েছে এশিয়ার পরাশক্তি চীন।

ফুজিয়ান প্রদেশের দক্ষিণাংশে তাইওয়ানের কাছের সমুদ্র অঞ্চলে সৈকতে অবতরণ এবং যুদ্ধের মহড়া চালিয়েছে চীন। যদিও বেইজিং বলছে, তাইওয়ানের সঙ্গে চলা উত্তেজনার সঙ্গে এই মহড়ার কোনো সম্পর্ক নেই।

তাইওয়ান নিজেদেরকে সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচনা করলেও চীন দ্বীপটিকে দেখে নিজেদের ‘বিচ্ছিন্ন প্রদেশ’ হিসেবে। পুনরেকত্রী করণের ক্ষেত্রে প্রয়োজনে বল প্রয়োগের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেয়নি বেইজিং।

সম্প্রতি চীনা শাসন স্বীকার করে নেওয়ার জন্য বেইজিং সামরিক এবং রাজনৈতিক চাপ বাড়িয়েছে বলে তাইওয়ান অভিযোগ করে আসছে।

চীনের যুদ্ধবিমান সম্প্রতি তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা জোনে (এআইডিজেড) অনুপ্রবেশের পর দুপক্ষে উত্তেজনা বেড়েছে। গত শুক্রবার থেকে টানা চারদিন চীনের বিমান বাহিনীর রেকর্ডসংখ্যক যুদ্ধবিমান তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা জোনে অনুপ্রবেশ করেছে।

আরও পড়ুন : শিগগিরই যক্ষ্মার নতুন টিকার ট্রায়াল শুরু ভারতে

বিতর্কিত এই অনুপ্রবেশের মুখে তাইওয়ান বিশ্বের অন্য গণতান্ত্রিক দেশগুলোর কাছ থেকে সমর্থন কামনা করেছে, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্রদেশগুলোর কাছ থেকে।

সংকটময় এই পরিস্থিতির মধ্যেই সোমবার চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির দৈনিক পত্রিকা তাদের উইবো মাইক্রোব্লগিং সাইটে এক সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সম্প্রতি কয়েকদিনে ফুজিয়ান প্রদেশের দক্ষিণাংশে মহড়া চালানো হয়েছে। এতে কিছু সেনা এবং নৌকা অংশ নিয়েছে।

সৈকতে আক্রমণ শানাতে সেনাদেরকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করে এই মহড়া চালানো হয়। মহড়ার ব্যাপারে বিস্তারিত আর কিছু জানায়নি চীনের সামরিক পত্রিকা।

যদিও পত্রিকাটির দেওয়া মহড়ার একটি ভিডিয়োতে দেখা গেছে, ছোট ছোট নৌকায় করে সেনারা সৈকতে আক্রমণ চালাচ্ছে। তারা স্মোক গ্রেনেড ছুড়ছে, কাঁটাতারের প্রতিরক্ষা বেষ্টনী পার হচ্ছে এবং বালুতে ট্রেঞ্চ খুঁড়ছে।

আরও পড়ুন : পর্যটকদের জন্য দ্বার খুলছে থাইল্যান্ড

চীনের ফুজিয়ান প্রদেশটির অবস্থান তাইওয়ানের কাছাকাছি হওয়ায় দ্বীপদেশটিতে চীনের যে কোনো রকম আগ্রাসনের ক্ষেত্রে হামলা চালানোর মূল কেন্দ্র হয়ে উঠবে এই প্রদেশটি।

চীন নিয়মিতই বিভিন্ন উপকূলে এমনকি বিতর্কিত দক্ষিণ চীন সাগরেও সামরিক মহড়া চালায়। তাইওয়ান চীনের এইসব মহড়া জোর-জবরদস্তি করে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠারই কৌশল বলে এর নিন্দা করে আসছে।

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং একদিন আগেই এক ভাষণে বলেছিলেন, তাইওয়ানের সঙ্গে পুনরেকত্রী করণ হতেই হবে। শি বলেন, আমি চাই তাইওয়ান চীনের সঙ্গে হংকংয়ের মতো ‘এক দেশ, দুই ব্যবস্থা’ এই নীতির আওতায় শান্তিপূর্ণ পুনরেকত্রী করণে রাজি হোক।

যদিও তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট কার্যালয় বলছে, তাইওয়ানের জনগণের ভাবনা স্পষ্ট, তারা ‘এক দেশ দুই ব্যবস্থা’ প্রত্যাখ্যান করেছে। বেইজিংকে ‘অনুপ্রবেশ, হয়রানি ও ধ্বংসের উসকানিমূলক পদক্ষেপগুলো’ পরিত্যাগ করারও আহ্বান জানায় তারা। স্বশাসিত এই দ্বীপটির প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন দাবি করেন, তারা বেইজিংয়ের চাপে নত হবেন না।

আরও পড়ুন : তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান চীনের

উল্লেখ্য, চীনের প্রশাসন আগে থেকেই তাইওয়ানকে তাদের নিজস্ব রাজ্য দাবি করে আগ্রাসন চালিয়ে আসছে। যদিও তাইওয়ান শুরু থেকে নিজেদের স্বতন্ত্র বলে দাবি করে আসছে। সম্প্রতি তাইওয়ানকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নানা পদক্ষেপ গ্রহণ চীনের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ওডি/কেএইচআর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড