• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩০ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

অ্যান্টার্কটিকাতে পৌঁছে গেছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

০৭ অক্টোবর ২০২১, ১৭:০২
অ্যান্টার্কটিকাতে পৌঁছে গেছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা
অ্যান্টার্কটিকাতে পৌঁছে গেছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা (ছবি : প্রতীকী)

বিশ্বজুড়ে মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহার শুরুর ৯ মাসের মাথায় দক্ষিণ মেরুর মহাদেশ অ্যান্টার্কটিকায় পৌঁছেছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা। বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি নিউজ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বরফাচ্ছাদিত এই মহাদেশে যুক্তরাজ্যের গবেষণা কেন্দ্র ব্রিটিশ রোথেরা রিসার্চ স্টেশনে কর্মরত ২৩ কর্মীকে কোভিড প্রতিরোধী টিকা প্রয়োগের জন্য অ্যান্টার্কটিকায় পাঠানো হয়েছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার সাম্প্রতিক এই চালান।

যুক্তরাজ্যের ব্রিজ নর্টন বিমানবন্দর থেকে যাত্রা করে দীর্ঘ ১০ হাজার মাইল অতিক্রম করে মঙ্গলবার অ্যান্টার্কটিকার বিমানবন্দরে পৌঁছেছে ভ্যাকসিনের চালানবাহী ব্রিটিশ রয়্যাল ফোর্সের ভয়জার বিমানটি। যাত্রা পথে সেনেগাল ও ফাল্কল্যান্ডে যাত্রাবিরতি নিয়েছিলেন পাইলটরা।

সেখান থেকে একটি ছোট টুইন ওটার উড়োজাহাজে করে টিকাগুলো রোথেরা গবেষণা কেন্দ্রে পৌঁছানো হয়। বিবিসি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, এরই মধ্যে গবেষণা কেন্দ্রের কর্মীদের টিকা দেওয়া শুরু হয়ে গেছে।

বিশ্লেষকদের মতে, অ্যান্টার্কটিকায় সেই অর্থে তেমন কোনো জনবসতি নেই। কিন্তু মহাদেশটিতে বিভিন্ন দেশের গবেষণা কেন্দ্র রয়েছে।

আরও পড়ুন : বিশ্বে প্রথম ম্যালেরিয়ার টিকা অনুমোদন

এর আগে অ্যান্টার্কটিকায় চিলির গবেষণা কেন্দ্রে কয়েকজন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন বলে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল বিভিন্ন মিডিয়ায়। কিন্তু এরপর সেখানে আরও কেউ প্রাণঘাতী এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন কি-না; এমন খবর আর পাওয়া যায়নি।

চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে ‘লকডাউনে’ আছেন অ্যান্টার্কটিকায় কর্মরত ব্রিটিশ কর্মীরা। মহামারি করোনা ভাইরাসের ভয়াল তাণ্ডব তার একটি অন্যতম কারণ। আর অপর কারণটি হলো- মহাদেশের দীর্ঘ ও বৈরী শীত। যদিও চলতি অক্টোবর মাস থেকে সেই লকডাউন শিথিল করা হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

রোথেরা গবেষণা কেন্দ্রটি যে সংস্থার অন্তর্ভুক্ত সেই ব্রিটিশ অ্যান্টার্কটিক সার্ভের হেড অব অপারেশন্স জন এগার বিষয়টি নিয়ে ব্রিটিশ মিডিয়াটির সঙ্গে কথা বলেছেন। সেখানে তিনি দাবি করেন, যারা বাড়ি ফিরতে চান, তারা আগামী ২০ অক্টোবর থেকে ফ্লাইট ধরতে পারবেন।

তার মতে, আমরা চাইছি, বাড়ি ফেরার আগে তারা যেন টিকার অন্তত একটি ডোজ গ্রহণ করেন।

আরও পড়ুন : বিশ্বে ৪৮ লাখ ৩৯ হাজার প্রাণ নিল করোনা

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে এশিয়ার পরাশক্তি চীনের উহান শহরে প্রথম মহামারি করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চ প্রাণঘাতী ভাইরাসটিকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি সংস্থাটি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে।

ওডি/কেএইচআর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড