অর্ধশতাধিক যুদ্ধবিমান নিয়ে ফের তাইওয়ানের আকাশে চীন

প্রতিবেশী রাষ্ট্র তাইওয়ানের আকাশসীমায় এযাবৎ কালের সবচেয়ে বড় অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটিয়েছে এশিয়ার পরাশক্তি চীন। তাইওয়ান সরকার জানিয়েছে, সোমবার (৪ অক্টোবর) চীনা বিমান বাহিনীর ৫৬টি অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান অবৈধভাবে তাদের আকাশসীমায় প্রবেশ করে। অতিক্ষুদ্র দেশটির আকাশসীমায় চীনা বিমান বাহিনীর এটাই সবচেয়ে বড় অনুপ্রবেশের ঘটনা।

মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যমে ব্রিটিশ মিডিয়া বিবিসি নিউজ এবং কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা তথ্যটি নিশ্চিত করেছে।

মিডিয়াগুলো বলছে, অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটির পর ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন প্ররোচনামূলক কর্মকাণ্ড’ বন্ধে চীনা প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তাইওয়ান। অতিক্ষুদ্র দেশটি বলছে, তাইওয়ান ও এর আশপাশের অঞ্চলে সাম্প্রতিক উত্তেজনা বৃদ্ধির ঘটনায় ‘মূল অভিযুক্ত’ বেইজিং।

বিশ্লেষকদের মতে, তাইওয়ানের সঙ্গে সাম্প্রতিক সময়ে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপকেই দায়ী করছে প্রতিবেশী রাষ্ট্র চীন। যদিও তাইওয়ানকে নিজেদের একটি প্রদেশ বলে শুরু থেকেই মনে করে চীন। অপর দিকে বেইজিংয়ের প্রদেশ নয়, বরং নিজেকে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র বলে দাবি করে তাইওয়ান।

তাইওয়ান পূর্ব এশিয়ার ছোট একটি দ্বীপ, যা তাইওয়ান প্রণালীর পূর্বে চীনা মূল ভূখণ্ডের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে অবস্থিত। গেল এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বেইজিং বারংবার তাদের আকাশসীমা লঙ্ঘন করছে বলে অভিযোগ করে আসছে দ্বীপটি।

আরও পড়ুন : চীনা ঋণ নিয়ে যেভাবে বিপাকে পড়ছে বহু দেশ

এছাড়া গত শুক্রবার থেকে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা সীমানার মধ্যে প্রায় ১৫০টি যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে চীনের জিনপিং প্রশাসন।

তাইওয়ান সরকারের বরাতে বিবিসি নিউজ বলছে, তাইওয়ানের আকাশসীমা লঙ্ঘনের সর্বশেষ ঘটনায় সোমবার চীনের ৫৬টি যুদ্ধবিমান দ্বীপ অঞ্চলটির প্রতিরক্ষা সীমানায় প্রবেশ করে। এর মধ্যে ছিল ৩৪টি জে-১৬ যুদ্ধবিমান এবং পরমাণু অস্ত্রবহনে সক্ষম ১২টি এইচ-৬ বোম্বার যুদ্ধবিমান। এর সবগুলোই তাইওয়ানের নিয়ন্ত্রিত প্রাতাস দ্বীপের ওপর দিয়ে উড়ে যায়।

এছাড়া সোমবার দিবাগত রাতে আরও চারটি যুদ্ধবিমানসহ ধাপে ধাপে মোট ৫৬টি চীনা যুদ্ধবিমান তাইওয়ানের আকাশসীমায় প্রবেশ করে।

আরও পড়ুন : লিবিয়ায় চার হাজার অভিবাসী আটক

এ দিকে তাইওয়ান প্রণালীতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিনষ্টে বেইজিংকে অভিযুক্ত করেছে তাইওয়ানের চীন বিষয়ক প্রধান নীতিনির্ধারণী পরিষদ মেইনল্যান্ড অ্যাফেয়ার্স কাউন্সিল (এমএসি)। একই সঙ্গে তারা ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন এসব প্ররোচনামূলক কর্মকাণ্ড’ বন্ধ করতে বেইজিংয়ের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছে।

ওডি/কেএইচআর