আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ইউরোপের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় দেশ স্পেনের সমুদ্র উপকূলে ভাসমান ৮ অভিবাসীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গত দুদিনে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় সমুদ্র উপকূল থেকে ভাসমান অবস্থায় দেহাবশেষগুলো উদ্ধার করা হয়। এসব মৃত অভিবাসীদের মধ্যে তিনজন নারী ও একজন শিশু। মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যমে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা তথ্যটি নিশ্চিত করেছে।
স্পেনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় আলমেরিয়া শহরের কর্তৃপক্ষ জানায়, গেল রবিবার থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত সমুদ্র উপকূল থেকে এই ৮টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। মৃতরা সকলেই এক বা একাধিক নৌকায় অবস্থান করছিলেন।
তারা জানিয়েছে, উপকূলের ২০ কিলোমিটার (১২ দশমিক ৪ মাইল) এলাকাজুড়ে বিস্তৃত বিভিন্ন এলাকা থেকে দেহাবশেষগুলো উদ্ধার করা হয়। গুয়ার্দিয়া পুলিশ ঘটনাটির তদন্ত করছে বলেও জানিয়েছে আলমেরিয়া শহর কর্তৃপক্ষ।
কাতারভিত্তিক মিডিয়াটি বলছে, অভিবাসীদের বহনকারী ওই এক বা একাধিক নৌকা হয়তো আলজেরিয়া বা মরক্কো থেকে যাত্রা শুরু করেছিল। উত্তাল সাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে পৌঁছানোর আশায় মৃত্যুর আগে তারা হয়তো পশ্চিম ভূমধ্যসাগর দিয়ে অন্তত ২০০ কিলোমিটার (১২৪ মাইল) পথ পাড়ি দিয়েছিলেন।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্পেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর সমুদ্র পাড়ি দিয়ে প্রায় ১০ হাজার সাত শতাধিক অভিবাসী ও শরণার্থী দেশটির মূল ভূখণ্ডে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছেন। গেল বছরের এই একই সময়ের তুলনায় যা এক হাজার ৬৮০ জন বেশি।
আরও পড়ুন : কাশ্মীরে সামরিক হেলিকপ্টার বিধ্বস্তে ২ পাইলট নিহত (ভিডিয়ো)
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) তথ্য মতে, ভীষণই বিপজ্জনকভাবে সমুদ্র পাড়ি দিয়ে ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টায় চলতি বছরের প্রথম থেকে এই রুটে কমপক্ষে ২৩৮ জনের মৃত্যু হয়।
এ দিকে গেল জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময়ে নতুন এক প্রতিবেদনে আইওএম জানিয়েছিল, বিপজ্জনক সমুদ্রপথ অতিক্রম করে ইউরোপে পাড়ি জমানোর চেষ্টার সময় সাগরে ডুবে শরণার্থী ও অভিবাসন প্রত্যাশীদের মৃত্যুর সংখ্যা অন্যান্য বছরের তুলনায় চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।
সে সময় সংস্থাটি জানায়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত কমপক্ষে এক হাজার ১৪৬ জনের মৃত্যু হয়। যদিও এর পরও ভূমধ্যসাগর পেরিয়ে ইউরোপে পাড়ি জমানোর চেষ্টাকারী মানুষের সংখ্যা বর্তমানে ৫৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
সংস্থাটির পাঠানো তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে মধ্য-ভূমধ্যসাগরে ‘লিবিয়া থেকে ইতালি’ প্রবেশের পথটি ছিল সবচেয়ে প্রাণঘাতী। ভয়ানক এই পথে ডুবে মরেছে প্রায় সাড়ে সাতশ লোক। এরপর আটলান্টিক মহাসাগরের পশ্চিম আফ্রিকা থেকে স্পেনের ক্যানারি দ্বীপের পথ ছিল দ্বিতীয় প্রাণঘাতী। সেই পথেও মারা গেছেন কমপক্ষে আড়াইশর মতো মানুষ।
আরও পড়ুন : অস্ট্রেলিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত (ভিডিয়ো)
এছাড়া পশ্চিম ভূমধ্যসাগরের স্পেনমুখী পথে সে সময় পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছিলেন কমপক্ষে দেড় শতাধিক লোক এবং পূর্ব ভূমধ্যসাগরের গ্রিসের পথে মৃত্যু হয়েছিল ছয়জনের।
ওডি/কেএইচআর
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড