• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

সাবমেরিন ইস্যুতে ফ্রান্সের পাশে ইইউ

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২১ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৫:০৬
সাবমেরিন ইস্যুতে ফ্রান্সের পাশে ইইউ
ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন (ছবি : ইউরো নিউজ)

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ার বিশেষ নিরাপত্তা চুক্তি ও সাবমেরিন ইস্যুতে কার্যত ‘টালমাটাল’ পরিস্থিতিতে রয়েছে পশ্চিমা দেশগুলোর মিত্রতা। বিতর্কিত চুক্তির ঘোষণা সামনে আসার পরপরই ক্ষোভ প্রকাশে এক মুহূর্ত বিলম্ব করেনি ফ্রান্স।

চলমান সংকটের গুরুত্ব বোঝোতে যুক্তরাষ্ট্র এবং অস্ট্রেলিয়া থেকে নিজেদের রাষ্ট্রদূতও প্রত্যাহার করে নিয়েছে ফরাসি সরকার। এমনকি বাতিল করা হয় ব্রিটেন-ফ্রান্স প্রতিরক্ষা আলোচনাও। যদিও এই সংকটের মাঝেই ইউরোপীয় ইউনিয়নকে (ইইউ) পাশে পেল প্যারিস।

মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যমে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি ও জার্মান মিডিয়া ডয়েচে ভেলে জানিয়েছে, আজ থেকে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন শুরু হচ্ছে। কিন্তু সেই অধিবেশনের পাশাপাশি আপাতত মিডিয়ার আলো পেয়েছে আরও এক বৈঠক। ইইউভুক্ত দেশগুলো জাতিসংঘের অধিবেশনের সাইডলাইনে নিজেদের মধ্যে বৈঠক সেরে ফেলবে। আর সেখানে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং অস্ট্রেলিয়ার বিশেষ নিরাপত্তা চুক্তি ও সাবমেরিন ইস্যু নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।

সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি মনে করেন, আমাদেরও কিছু বিষয় জানার রয়েছে। এখনো কিছু প্রশ্ন আছে, যার উত্তর পাওয়া ভীষণই প্রয়োজন।

মার্কিন মিডিয়া সিএনএনকে তিনি বলেন, আমাদের এক সদস্য রাষ্ট্রের সঙ্গে এমন ব্যবহার করা হয়েছে, যা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা জানতে চাই কী হয়েছিল এবং কেন এমনটা হলো?

আরও পড়ুন : অর্ধেক ভোট পেয়েই নির্বাচনে পুতিনের দলের জয়

এ দিকে ইইউর অন্যতম প্রধান কূটনীতিক জোসেপ বোরেলের ভাষায়, নিউইয়র্কে এক বৈঠকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ফ্রান্সের প্রতি নিজেদের পূর্ণ সমর্থনের কথা প্রকাশ করেছেন।

অপর দিকে ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রধান চার্লস মাইকেল দাবি করেন, তিন দেশের এই বিশেষ নিরাপত্তা চুক্তি ও সাবমেরিন ইস্যুতে সৃষ্ট টানাপড়েনের জবাব খুঁজছে তার সংস্থা। এখন জবাবদিহিতা, স্বচ্ছতা ও বিশ্বাসের ব্যাপারে মিত্র দেশগুলোর নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমরা সাবমেরিন ইস্যুতে বিশ্বস্ততা ও স্বচ্ছতার ঘাটতি দেখতে পারছি।

এর আগে ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, তিন দেশের মধ্যে সাবমেরিন চুক্তি বর্তমানে আস্থার সংকট তৈরি করেছে। বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আমাদের মনে হয়, এক তরফা সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং অন্যকে না বোঝার নীতি নিয়ে অতীতেও তারা চলতেন, এমনকি এখনো চলছেন।

বিশ্লেষকদের মতে, এশিয়ার পরাশক্তি চীনকে মোকাবিলায় প্রভাবশালী পশ্চিমা তিনটি দেশ যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া এবং যুক্তরাজ্যের উদ্যোগে অকাস নামের একটি নিরাপত্তা চুক্তির কথা ঘোষণা করার কয়েকদিন পরই সমঝোতাটি বড় ধরনের সমালোচনার মুখে পড়ে।

আরও পড়ুন : ক্ষমতার মসনদে ফের ট্রুডো

ঐতিহাসিক সেই চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে অস্ট্রেলিয়াকে পারমাণবিক সাবমেরিন নির্মাণের জন্য উন্নত প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি সরবরাহের কথাও বলা হয়েছে।

ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার নতুন এই উদ্যোগে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুব্ধ হয়েছে ফ্রান্স। কারণ এতে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্যারিস। বিতর্কিত এই চুক্তির ফলে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে নিজেদের পূর্ব-স্বাক্ষরিত বহু কোটি ডলারের একটি সমঝোতার অবসান ঘটেছে।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে অস্ট্রেলিয়া ও ফ্রান্সের মধ্যে ৩ হাজার ৭০০ কোটি ডলার মূল্যের চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। ওই চুক্তির আওতায় অস্ট্রেলিয়ার জন্য ১২টি সাবমেরিন নির্মাণ করার কথাও বলা ছিল।

আরও পড়ুন : ‘বারাদারকে ঘুষি মেরেছিলেন হাক্কানি’

যদিও অকাস চুক্তিটি ফ্রান্সের জন্য একদিকে অর্থনৈতিক ধাক্কা। তেমনি এই নতুন নিরাপত্তা চুক্তির ঘোষণা ফরাসি নেতাদের জন্য বিস্ময়করও, কারণ এ প্রসঙ্গে তাদের কোনো ধারণাই ছিল না। নতুন এই জোট গঠনের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগেই ফ্রান্সকে বিষয়টি অবহিত করা হয়।

ওডি/কেএইচআর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড