• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৭ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

সাবমেরিন ইস্যু 

যুক্তরাজ্যের সঙ্গে প্রতিরক্ষা বৈঠক বাতিল ফ্রান্সের

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২০ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১০:৫৬
যুক্তরাজ্যের সঙ্গে প্রতিরক্ষা বৈঠক বাতিল ফ্রান্সের
সমুদ্রে ভাসমান সাবমেরিন (ছবি : রয়টার্স)

সাবমেরিন ইস্যুতে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে প্রতিরক্ষা আলোচনা বাতিল করেছে ফ্রান্স। চলতি সপ্তাহেই ফরাসি সশস্ত্র বাহিনী বিষয়ক মন্ত্রী ফ্লোরেন্স পারলি এবং ব্রিটেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মধ্যে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও ব্রিটেনের বিশেষ নিরাপত্তা চুক্তি এবং সাবমেরিন ইস্যুতে সৃষ্ট টানাপড়েনের কারণে আলোচনাটি বাতিল করে প্যারিস।

সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুটি সূত্রের বরাতে করা প্রতিবেদনে তথ্যটি নিশ্চিত করেছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এর আগে ওই তিন দেশের বিশেষ নিরাপত্তা চুক্তি ও সাবমেরিন ইস্যু বিবেচনায় নিয়ে অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে নিজেদের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠায় ফ্রান্স।

সূত্র দুটি রয়টার্সকে জানিয়েছেন, চলতি সপ্তাহে প্রতিরক্ষা ইস্যুতে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও ইতোমধ্যে সেটিকে বাতিলের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। মূলত এবার বৈঠক বাতিলের সিদ্ধান্ত ব্যক্তিগতভাবেই নিয়েছেন ফ্রান্সের সশস্ত্র বাহিনী বিষয়ক মন্ত্রী ফ্লোরেন্স পারলি।

এ প্রসঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে ফরাসি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি রয়টার্স। অপর দিকে বৈঠক বাতিল ইস্যুতে কোনো ধরনের মন্তব্য করতে রাজি হয়নি যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ও। এর আগে ব্রিটিশ মিডিয়া দ্য গার্ডিয়ানে প্রকাশিত প্রতিবেদনেও বৈঠকটি বাতিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছিল ওই সূত্র।

আরও পড়ুন : যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার ওপর কেন ক্ষুব্ধ ফ্রান্স?

এশিয়ার পরাশক্তি চীনকে মোকাবিলায় প্রভাবশালী পশ্চিমা তিনটি রাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ার উদ্যোগে অকাস নামে একটি নিরাপত্তা চুক্তির কথা ঘোষণা করা হয়। মূলত এর কয়েকদিন পরই সমঝোতাটি বড় ধরনের সমালোচনার মুখে পড়ে।

ঐতিহাসিক এই চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে অস্ট্রেলিয়াকে পারমাণবিক সাবমেরিন নির্মাণের জন্য উন্নত প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি সরবরাহের কথা বলা হয়েছে।

পরমাণু ক্ষমতাধর দেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) শক্তিধর সদস্য ফ্রান্স এরই মধ্যে চুক্তিটির তীব্র সমালোচনা করেছে। অকাসের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছে- এর মাধ্যমে তাদের ‘পিঠে ছুরি মারা হয়েছে।’

আরও পড়ুন : দক্ষিণ চীন সাগরে ‘জল ঘোলা’ করছে যুক্তরাষ্ট্র

বিশ্লেষকদের মতে, ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার নতুন এই উদ্যোগে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুব্ধ হয়েছে ফ্রান্স। কারণ এতে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্যারিস। বিতর্কিত এই চুক্তির ফলে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে নিজেদের পূর্ব-স্বাক্ষরিত বহু কোটি ডলারের একটি সমঝোতার অবসান ঘটেছে।

২০১৬ সালে অস্ট্রেলিয়া ও ফ্রান্সের মধ্যে ৩ হাজার ৭০০ কোটি ডলার মূল্যের চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। ওই চুক্তির আওতায় অস্ট্রেলিয়ার জন্য ১২টি সাবমেরিন নির্মাণ করার কথাও বলা ছিল।

যদিও অকাস চুক্তিটি ফ্রান্সের জন্য একদিকে অর্থনৈতিক ধাক্কা। তেমনি এই নতুন নিরাপত্তা চুক্তির ঘোষণা ফরাসি নেতাদের জন্য বিস্ময়করও, কারণ এ প্রসঙ্গে তাদের কোনো ধারণাই ছিল না। নতুন এই জোট গঠনের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগেই ফ্রান্সকে বিষয়টি অবহিত করা হয়।

আরও পড়ুন : বাড়তি কাজের চাপে বছরে ১৯ লাখ মৃত্যু

রবিবার ফরাসি সরকারের মুখপাত্র জানিয়েছেন, তিন দেশের বিশেষ নিরাপত্তা চুক্তি ও সাবমেরিন ইস্যুতে সৃষ্ট সংকট নিয়ে আলোচনার জন্য কয়েকদিনের মাঝেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলবেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো।

ওডি/কেএইচআর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড