আন্তর্জাতিক ডেস্ক
রোজকার রুটিন অনুযায়ী প্রস্তুত হয়ে সেদিন সকালেও কাবুলের নারী বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে গিয়েছিলেন এর নারী কর্মকর্তা। যদিও সেখানে পৌঁছে এদিন বাধার মুখে পড়তে হয় তাকে। এরপর কোনো নারী কর্মীকেই নাকি মন্ত্রণালয়ের ভেতরে প্রবেশ করতে দিচ্ছিল না তালেবান।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা স্পুটনিক নিউজ এক আফগান নারী কর্মীর বরাতে জানিয়েছে, গেল সপ্তাহে আফগানিস্তানের নারীবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের চার নারী কর্মীকে ভেতরে প্রবেশের সময় বাধা দেন এক তালেবান যোদ্ধা। যদিও এ সময় অন্য পুরুষ কর্মীদের ঠিকই ঢুকতে দেওয়া হচ্ছিল। এরপর বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রতিবাদ জানানোর প্রস্তুতি নেন ওই নারীরা।
বিশ্লেষকদের মতে, পশ্চিমা বাহিনী নিজেদের প্রত্যাহার প্রক্রিয়া চালানোর মাঝেই গেল ১৫ আগস্ট এক প্রকার বিনা বাধায় কাবুল দখল করেছে তালেবান বিদ্রোহীরা। মূলত এতেই পতন ঘটে প্রায় দুই দশক যাবত আফগান ভূখণ্ডের শাসন করা পশ্চিমা সমর্থিত সরকারের।
তালেবান দেশের ক্ষমতা দখলের পর অনেকেই উদ্বেগ জানিয়েছেন, দেশটিতে ব্যাপক হারে মানবাধিকার, বিশেষ করে নারীদের অধিকার লঙ্ঘিত হতে পারে।
আরও পড়ুন : দক্ষিণ চীন সাগরে ‘জল ঘোলা’ করছে যুক্তরাষ্ট্র
যদিও বাহিনীটি প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তালেবান সব সময়ই শরিয়া আইনের মাধ্যমে নারীদের প্রাপ্য সম্মান ও সুবিধা নিশ্চিত করবে। এছাড়া পর্দা মেনে নারীরা কাজেও যোগ দিতে পারবেন। কিন্তু এতেও আশ্বস্ত হতে পারছে না বিভিন্ন মহল। তাদের আশঙ্কা, তালেবানের আগের শাসনামলের মতো এবারও নারীদের কাজকর্মে বাধা দিবে।
সম্প্রতি কাবুলে নতুন সরকার ঘোষণা করেছে কট্টর ইসলামপন্থি সংগঠনটি। যদিও এতে ঠাঁই হয়নি কোনো নারীর। অবশ্য আগেই এমন ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছিল তালেবান।
আরও পড়ুন : আফগানিস্তানে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহত ৭
কিছুদিন আগেই গোষ্ঠীটির মুখপাত্র সৈয়দ জেকরুল্লাহ হাশিমি তোলো নিউজের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছিলেন। সেখানে তিনি বলেন, নারীরা মন্ত্রণালয়ের কাজ সামলাতে পারবেন না। কেননা তারা এই ভার বহনে অক্ষম। এমনকি নারীরা সমাজের অর্ধেক- এটিও মানতে নারাজ তালেবানের এই মুখপাত্র।
ওডি/কেএইচআর
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড