করোনায় সংক্রমণ-মৃত্যু কমল ভারতে

মহামারি করোনা ভাইরাসের ভয়াল থাবায় সংক্রমিত হয়ে দক্ষিণ এশিয়ার ঘনবসতিপূর্ণ দেশ ভারতে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমে হ্রাস পাচ্ছে। যদিও আগের দিনের তুলনায় বাড়ল নতুন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। এছাড়া গেল ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে কোভিড শনাক্ত হওয়া মানুষের তুলনায় সুস্থ হয়েছেন বেশি লোক। ফলে বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ভারতে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা সাড়ে তিন লাখে নেমে এসেছে, সঙ্গে আরও বেড়েছে সুস্থতার হারও।

এদিন দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো তথ্য অনুযায়ী, শেষ এক দিনে দেশটিতে নতুন করে কোভিড সংক্রমিত হয়েছেন ২৭ হাজার ১৭৬ জন মানুষ। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় দেশটিতে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা প্রায় ২ হাজার বৃদ্ধি পেল। সর্বশেষ এই সংখ্যাসহ মহামারির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত দেশটিতে কোভিড শনাক্তের মোট সংখ্যা বেড়ে তিন কোটি ৩৩ লাখ ১৬ হাজার ৭৫৫ জনে দাঁড়িয়েছে।

অপর দিকে মঙ্গলবারের তুলনায় বুধবার ভারতে প্রাণহানির সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। গেল ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে মৃত্যুবরণ করেছেন ২৮৪ জন। অর্থাৎ শেষ এক দিনে প্রাণহানির সংখ্যা ৫৫ জন কমেছে। মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন চার লাখ ৪৩ হাজার ৪৯৭ জন।

এ দিকে দৈনিক সুস্থতা ও সংক্রমণের ক্ষেত্রে বুধবারও ভারতে স্বাভাবিক চিত্র বজায় রয়েছে। অর্থাৎ সর্বশেষ এক দিনে দেশটিতে নতুন করে কোভিড আক্রান্ত হওয়া লোকজনের তুলনায় সুস্থ হয়েছেন বেশি মানুষ। ফলে এদিন ভারতে সক্রিয় কোভিড রোগীর সংখ্যা প্রায় সাড়ে তিন লাখে নেমে এসেছে।

আরও পড়ুন : ভারত থেকে বাংলাদেশে ছুটছে ইলিশের ঝাঁক

শেষ একদিনে ভারতে সুস্থ হয়েছেন বা হাসপাতাল ছেড়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৩৮ হাজার ১২ জন মানুষ। অপর দিকে দৈনিক শনাক্তের সংখ্যা ২৭ হাজারের বেশি। ফলে দেশটিতে মোট সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমে তিন লাখ ৫১ হাজার ৮৭ জনে দাঁড়িয়েছে।

ভারতের মোট সংক্রমিত রোগীর ১ দশমিক ০৫ শতাংশ বর্তমানে সক্রিয় রোগী। মঙ্গলবারের তুলনায় বুধবার এই হার হ্রাস পেয়েছে। এ দিকে দেশটিতে সুস্থতার হার আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, শেষ এক দিনে দেশটিতে সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৬২ শতাংশ।

আরও পড়ুন : যোদ্ধাদের ইউনিফর্ম পরতে বলছে তালেবান

অপর দিকে ভারতে দৈনিক সংক্রমণের হার আরও হ্রাস পেয়েছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গেল ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে দৈনিক সংক্রমণের হার ১ দশমিক ৬৯ শতাংশ। শেষ ১৬ দিন যাবত দেশটিতে এই হার তিন শতাংশের নিচেই রয়েছে।

ওডি/কেএইচআর