তালেবানের সঙ্গে আলোচনা ছাড়া বিকল্প পথ নেই ইইউর

যুদ্ধবিধ্বস্ত রাষ্ট্র আফগানিস্তানের কট্টর ইসলামিক সংগঠন তালেবানের নতুন শাসকদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) হাতে আর কোনো উপায় নেই। রাজধানী কাবুলে কূটনৈতিক উপস্থিতির বিষয়ে দেশটির নতুন সরকারের সদস্যদের সঙ্গে সমন্বিতভাবে আলোচনার চেষ্টা করবে ব্রাসেলস।

মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ফ্রান্সে ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টে (ইপি) এমনই মন্তব্য করেছেন ইইউর শীর্ষ কূটনীতিক জোসেফ বোরেল।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইইউর পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান জোসেফ বোরেল মঙ্গলবার ফ্রান্সের স্ট্র্যাসবার্গে ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টে বক্তব্য রেখেছেন। সেখানে তিনি বলেন, আফগানিস্তান সংকট এখনো কাটেনি। সেখানকার ঘটনাগুলোর ওপর প্রভাব রাখতে চাইলে তালেবানের সঙ্গে আলোচনায় বসা ছাড়া আমাদের সামনে আর বিকল্প কোনো পথ নেই।

গত ১৫ আগস্ট রাজধানী কাবুলে প্রবেশের মধ্য দিয়ে আফগানিস্তানের রাষ্ট্রক্ষমতা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয় তালেবান। এরপর ইইউ জোটের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা আফগানিস্তানে পুনরায় মানবিক সহায়তা প্রদান এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য মানবাধিকার রক্ষা বিশেষ করে নারী অধিকারের ওপর সম্মান জানানোর শর্ত জুড়ে দেন।

আরও পড়ুন : তালেবান নেতাদের সঙ্গে দ্বন্দ্বে কাবুল ছাড়লেন বারাদার

জোসেফ বোরেল বলেছেন, মানবাধিকার ইস্যুতে কথা বলা মানে নিশ্চিতভাবেই তাদের বিরোধিতা করা। যদিও এটা নিয়ে আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলতে পারি। ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশে আমি বলতে চাই, আফগানরা যে ইউরোপে আসার চেষ্টা করছে সেটা মোকাবিলার জন্য জোটের প্রস্তুত থাকা উচিৎ।

২০১৫ সালে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ায় ইউরোপে যেভাবে শরণার্থীর ঢল নেমেছিল; পরিস্থিতি তেমন না হলেও তালেবান যোদ্ধারা নিরীহ আফগানদের দেশত্যাগের অনুমতি দিলে অনেকে ইউরোপে আসতে চাইবেন বলে মনে করছেন বোরেল। কিন্তু শরণার্থী ইস্যুতে নতুন একটি সংকটের ব্যাপারে ইইউ’র সতর্ক হওয়া উচিৎ বলে মত দিয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন : ‘পুরুষের সঙ্গে নারীদের কাজ করা উচিৎ নয়’

উল্লেখ্য, বিদেশি সেনাবাহিনীর সদস্যদের আফগানিস্তান ছাড়ায় কাবুল থেকে উদ্ধার হওয়া ৩০ হাজার আফগানকে ইউরোপে নেওয়া হয়েছে। ইউরোপিয়ান কমিশন এসব আফগান শরণার্থীর জন্য জোটভুক্ত সরকারগুলোর কাছ থেকে ৩৩৫ মিলিয়ন ডলার তহবিল সংগ্রহের পরিকল্পনা করছে। যে তহবিল দিয়ে এসব আফগানকে পুনর্বাসিত করা হবে।

ওডি/কেএইচআর