আহমাদুল কবির, মালয়েশিয়া
মালয়েশিয়ায় ফিরতে ৩ লাখেরও বেশি আবেদন জমা পড়েছে ইমিগ্রেশনে। দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ বলছে, মালয়েশিয়া প্রবেশে এবং দেশটির বাহিরে যেতে মাই ট্রাভেল পাসের (এমটিপি) মাধ্যমে গত বছরের অক্টোবর থেকে চলতি মাসের ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট তিন লাখ ৩৫ হাজার ৫১০টি আবেদন জমা পড়েছে।
এর মধ্যে দুই লাখ আট হাজার ৫০৯ জনের আবেদন অনুমোদন হয়েছে এবং এক লাখ ২৭ হাজার ৪৬৫ জনের আবেদন বিভিন্ন কারণে বাতিল করা হয়েছে। এসব আবেদনকারীর মধ্যে রয়েছে মালয়েশিয়ান নাগরিক ও তাদের পোষ্য এবং বিভিন্ন দেশের অভিবাসী ছাত্র ও শ্রমিক।
এছাড়া দেশটিতে প্রবেশ করতে চাইলে ইমিগ্রেশনের পূর্বানুমতি প্রয়োজনে এমটিপি অনলাইন আবেদন ২০২০ এর নভেম্বর চালু করা হয়েছিল যা এখনো চালু রয়েছে।
সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিবৃতির মাধ্যমে তথ্যটি জানিয়েছেন দেশটির অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক খায়রুল দাজাইমি দাউদ।
এর আগে মালয়েশিয়ার একটি স্থানীয় পত্রিকার প্রতিবেদনে সমালোচনা করে বলা হয়, মাই ট্রাভেল পাসের (এমটিপি) প্রসেসিং অনেক বিলম্ব হচ্ছে। যার কারণে আটকা পড়া মানুষজন দেশটিতে ফিরতে পারছেন না এবং দেশটি থেকে বাহিরের দেশে যেতে পারছেন না। তাছাড়াও এমটিপির প্রয়োজনীয়তা ও সহজ শর্তাবলি জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয়নি।
আরও পড়ুন : ভারত থেকে বাংলাদেশে ছুটছে ইলিশের ঝাঁক
এমন অভিযোগ অস্বীকার করে খায়রুল দাজাইমি দাউদ বলেন, গত বছরের নভেম্বর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় তিন লাখ ৫৬ হাজার ৫১০টি আবেদন জমা পড়েছে। এগুলো প্রসেসিং করতে ৩টি টিম নিয়মিত কাজ করছে। দিন দিন এই আবেদন বেড়েই চলেছে তার কারণ বর্তমানে দেশে লকডাউন শিথিল করা হয়েছে।
আগে বাছাই প্রক্রিয়াটির সময়সীমা যেখানে ৭ দিন ছিল এখন তা বাড়িয়ে ১৪ দিন করা হয়েছে। এমটিপি আবেদন গ্রহণ বাতিল দেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি ও সরকারের বিভিন্ন বিধিনিষেধের উপর নির্ভর করতে হয়। এমটিপির শর্তগুলো পুরোপুরি বুঝতে হবে পাশাপাশি সরকারের বিভিন্ন বিধিনিষেধ ও নিয়ম কানুন সম্পর্কে আরও সতর্ক থাকতে হবে। এমটিপি আবেদন প্রক্রিয়া সহজ করতে এর আপডেট অব্যাহত আছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
এ দিকে বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসে মালয়েশিয়ার অর্থনীতিসহ দেশটির স্বাভাবিক কর্মযজ্ঞ ও জীবনযাপন ব্যাহত হচ্ছে। করোনা প্রতিরোধে দীর্ঘ সময় ধরে কঠোর বিধি-নিষেধের কারণে সাধারণ জনগণসহ অভিবাসীরা নানামুখী সংকটের মুখে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। হাজার হাজার প্রবাসী কর্মী করোনাকালে মালয়েশিয়া থেকে ছুটিতে নিজ দেশে এসে এখন আটকা পড়েছেন।
আরও পড়ুন : ১০০ কোটি ডলার সহায়তা পাচ্ছে আফগানিস্তান
বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া স্পেশাল ফ্লাইট ছাড়া নিয়মিত ফ্লাইট দীর্ঘ সময় ধরে বন্ধ রয়েছে। ভিসা পারমিট থাকা সত্ত্বেও দীর্ঘ অপেক্ষার পরও নানা জটিলতার কারণে ফিরতে পারছে না। এ বিষয়ে দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ে আলোচনার মাধ্যমে সুষ্ঠু সমাধানের আশা করছেন দেশে ছুটিতে থাকা বাংলাদেশি কর্মীরা।
ওডি/কেএইচআর
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড