• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৭ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

মিশরের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৪:১০
মিশরের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ
মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসির সঙ্গে বৈঠক করছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট (ছবি : আল-জাজিরা)

আফ্রিকার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় দেশ মিশর সফরে গেছেন মধ্যপ্রাচ্যের ইহুদিবাদী দখলদার রাষ্ট্র ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট। গুরুত্বপূর্ণ সেই সফরে তিনি মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। প্রতিবেশী রাষ্ট্র ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে দীর্ঘদিনের সংঘাত এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে তারা আলোচনা করেছেন। গেল এক দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো ইসরায়েলের কোনো প্রধানমন্ত্রী মিশর সফরে গেলেন।

চলতি বছরের জুনে ডানপন্থি ইয়ামিনা পার্টির প্রধান বেনেট ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণ করেন। সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সিনাই উপদ্বীপের দক্ষিণাঞ্চলীয় শারম আল-শেখের রেড সি রিসোর্টে মিশরের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি।

মিশরের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে পাঠানো বিবৃতিতে জানানো হয়, ইসরায়েলি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনায় দখলকৃত ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে শান্তি স্থাপন এবং সেখানে পুনর্নির্মাণের প্রচেষ্টার জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তার গুরুত্ব উল্লেখ করেন সিসি।

দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের ভিত্তিতে মধ্যপ্রাচ্যে ব্যাপক শান্তি প্রতিষ্ঠায় সব ধরনের প্রচেষ্টার জন্য মিশরের সমর্থন রয়েছে বলেও নিশ্চিত করেছেন প্রেসিডেন্ট তিনি। দেশে ফেরার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বেনেট দাবি করেন, এবার নিরাপত্তা, কূটনীতি এবং অর্থনীতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

আরও পড়ুন : ১০০ কোটি ডলার সহায়তা পাচ্ছে আফগানিস্তান

গত কয়েকদিন আগেই ইসরায়েলের নিরাপত্তা উপদেষ্টা ইয়াল হুলাতা গোপনে মিশরের রাজধানী কায়রো সফরে গিয়েছিলেন। মূলত সেখানেই তিনি মিশরের গোয়েন্দা প্রধান আব্বাস কামেল এবং দেশটির অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এবার ইসরায়েলের একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে মিশর সফরে যান হুলাতা। সেখানে তিনি আব্বাস কামেল এবং মিশরের গোয়েন্দা কর্মকর্তা আহমেদ আব্দুল খালেকের সঙ্গে দেখা করেন।

বিশ্লেষকদের মতে, ১৯৭৯ সালে প্রথম আরব রাষ্ট্র হিসেবে ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করে মিশর। মাঝে কয়েক বছর দেশ দুটির মধ্যে বেশ শীতল সম্পর্ক ছিল। মূলত ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনের মধ্যে সংঘাত বন্ধ এবং যুদ্ধবিরতির ক্ষেত্রে বেশ কয়েকবার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে মিশর।

আরও পড়ুন : যোদ্ধাদের ইউনিফর্ম পরতে বলছে তালেবান

উল্লেখ্য, গত মে মাসে মিশরের মধ্যস্থতাতেই গাজা উপত্যকায় ১১ দিনের সংঘাত বন্ধ হয়। মূলত তখন থেকেই দেশ দুটির মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। ভয়াবহ সেই সংঘাতে ২৬০ জনের অধিক ফিলিস্তিনির প্রাণহানি ঘটেছিল। অপর দিকে ইসরায়েলে প্রাণ গিয়েছিল ১৩ জনের।

ওডি/কেএইচআর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড