ভারতে করোনায় কমেছে মৃত্যু, বাড়ল সুস্থতা

মহামারি করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে দক্ষিণ এশিয়ার ঘনবসতিপূর্ণ দেশ ভারতে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমে হ্রাস পাচ্ছে। একই সঙ্গে আগের দিনের তুলনায় প্রাণঘাতী ভাইরাসটিতে নতুন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও কমেছে। এছাড়া গেল ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে কোভিড শনাক্ত হওয়া মানুষের তুলনায় সুস্থ হয়েছেন বেশি লোক। ফলে সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ভারতে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হ্রাস পেয়েছে, একই সঙ্গে বেড়েছে সুস্থতার হারও।

এদিন দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো তথ্য অনুযায়ী, শেষ এক দিনে দেশটিতে নতুন করে কোভিড সংক্রমিত হয়েছেন ২৭ হাজার ২৫৪ জন মানুষ। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় ভারতে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে ১৩০০-র বেশি। সর্বশেষ এই সংখ্যাসহ মহামারির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত দেশটিতে করোনায় সংক্রমিত মোট সংখ্যা বেড়ে তিন কোটি ৩২ লাখ ৬৪ হাজার ১৭৫ জনে দাঁড়িয়েছে।

অপর দিকে রবিবারের তুলনায় সোমবার ভারতে প্রাণহানির সংখ্যা কমেছে শতাধিক। গেল ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে মৃত্যুবরণ করেছেন ২১৯ জন। অর্থাৎ শেষ এক দিনে প্রাণহানির সংখ্যা কমল ১১৯ জন। মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন চার লাখ ৪২ হাজার ৮৭৪ জন।

এ দিকে দৈনিক সুস্থতা ও সংক্রমণের ক্ষেত্রে সোমবার ভারতে বজায় রয়েছে স্বাভাবিক চিত্র। অর্থাৎ সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে কোভিড শনাক্ত হওয়া লোকজনের তুলনায় সুস্থ হয়েছেন বেশি মানুষ। ফলে সোমবার দেশটিতে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হ্রাস পেয়েছে।

আরও পড়ুন : সাইবেরিয়ার জঙ্গলে রুশ বিমানের অবতরণ, নিহত ৪

গত এক দিনে ভারতে সুস্থ হয়েছেন বা হাসপাতাল ছেড়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৩৭ হাজার ৬৮৭ জন মানুষ। অপর দিকে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ২৭ হাজারের বেশি। ফলে দেশটিতে মোট সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমে তিন লাখ ৭৪ হাজার ২৬৯ জনে দাঁড়িয়েছে।

ভারতের মোট শনাক্ত রোগীর ১ দশমিক ১৩ শতাংশ বর্তমানে সক্রিয় রোগী। রবিবারের তুলনায় সোমবার এই হার কমেছে। এ দিকে ভারতে সুস্থতার হার আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৫৪ শতাংশ।

অন্য দিকে শেষ ২৪ ঘণ্টায় ভারতে দৈনিক সংক্রমণের হার ফের বেড়ে ২ দশমিক ২৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। গত ১৪ দিন যাবত দেশটিতে এই হার তিন শতাংশের নিচেই রয়েছে।

আরও পড়ুন : ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে শক্তিশালী ড্রোন হামলা

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চ করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি সংস্থাটি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে।

ওডি/কেএইচআর