ভারতে করোনা সংক্রমণের হার কমল

মহামারি করোনা ভাইরাসের ভয়াল থাবায় দক্ষিণ এশিয়ার ঘনবসতিপূর্ণ দেশ ভারতে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। একই সঙ্গে আগের দিনের তুলনায় কমল প্রাণঘাতী ভাইরাসটিতে আক্রান্ত নতুন রোগীর সংখ্যাও। এছাড়া গেল ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে রোগটিতে শনাক্ত হওয়া মানুষের তুলনায় সুস্থ হয়েছেন বেশি লোক। ফলে শুক্রবার দেশটিতে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। এর মাধ্যমে দৈনিক সংক্রমণের হারও নেমেছে ২ শতাংশের নিচে।

শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো তথ্য অনুযায়ী, শেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে কোভিড সংক্রমিত হয়েছেন ৩৪ হাজার ৯৭৩ জন মানুষ। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় দেশটিতে নতুন শনাক্ত রোগী সংখ্যা কমেছে আট হাজারের বেশি। সর্বশেষ এই সংখ্যাসহ মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে কোভিড আক্রান্তের মোট সংখ্যা তিন কোটি ৩১ লাখ ৭৪ হাজার ৯৫৪ জনে দাঁড়িয়েছে।

অন্য দিকে বৃহস্পতিবারের তুলনায় শুক্রবার ভারতে প্রাণহানির সংখ্যা আরও হ্রাস পেয়েছে। শেষ এক দিনে দেশটিতে মৃত্যুবরণ করেছেন ২৬০ জন। অর্থাৎ গত এক দিনে প্রাণহানির সংখ্যা কমল ৭৮। মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন চার লাখ ৪২ হাজার ৯ জন।

এ দিকে দৈনিক সুস্থতা ও সংক্রমণের ক্ষেত্রে ভারতে শুক্রবার ফিরে এসেছে স্বাভাবিক চিত্র। অর্থাৎ সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে ভাইরাসটিকে আক্রান্ত হওয়া মানুষের তুলনায় সুস্থ হয়েছেন বেশি লোক। ফলে শুক্রবার দেশটিতে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমেছে।

আরও পড়ুন : করোনা মোকাবিলায় বাইডেনের কঠোর নির্দেশনা

গত একদিনে ভারতে সুস্থ হয়েছেন বা হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৩৭ হাজার ৬৮১ জন মানুষ। অপর দিকে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৩৫ হাজার। ফলে দেশটিতে মোট সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমে তিন লাখ ৯০ হাজার ৬৪৬ জনে পৌঁছেছে।

ভারতের মোট শনাক্ত রোগীর ১ দশমিক ১৮ শতাংশ বর্তমানে সক্রিয় রোগী। বৃহস্পতিবারের তুলনায় শুক্রবার এই হার কমেছে। এ দিকে দেশটিতে সুস্থতার হার বৃদ্ধি পেয়েছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ।

আরও পড়ুন : স্লোভেনিয়ায় করোনার চতুর্থ ঢেউয়ের আঘাত

অপর দিকে নির্ধারিত এই সময়ের মধ্যে ভারতে দৈনিক সংক্রমণের হার নেমে এসেছে ২ শতাংশের নিচে। সর্বশেষ তথ্যে এই হার ১ দশমিক ৯৬ শতাংশে রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। গত ১১ দিন ধরে দেশটিতে দৈনিক সংক্রমণের হার তিন শতাংশের নিচেই রয়েছে।

ওডি/কেএইচআর