সাড়ে ৫ হাজার বিদ্রোহীকে হত্যার দাবি ইথিওপিয়ার

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়ার টাইগ্রে অঞ্চলে সাড়ে পাঁচ হাজারের অধিক বিদ্রোহীকে হত্যার দাবি করেছে সামরিক বাহিনী। দেশটির যুদ্ধপ্রবণ উত্তরাঞ্চলে দীর্ঘদিন যাবত বিদ্রোহীদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর সংঘাত চলছে।

যদিও এই বিদ্রোহীদের হত্যার দাবি নিশ্চিত করলেও সেনাবাহিনীর শীর্ষ জেনারেল বাচা দেবেলে এটা নিশ্চিত করেননি যে, এই হতাহতের সংখ্যা ঠিক কতদিনের। যদিও সাম্প্রতিককালের বিদ্রোহে সব বিদ্রোহীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।

ইথিওপিয়ার সিনিয়র জেনারেল বাচা দেবেলে বিবৃতির মাধ্যমে জানিয়েছেন, এবারের সংঘাতে আরও প্রায় দুই হাজার তিনশ’ বিদ্রোহী আহত এবং বাহিনীর আরও দুই হাজারের অধিক সদস্যকে আটক করা হয়েছে।

এ দিকে জাতিসংঘ বলছে, অঞ্চলটিতে বর্তমানে কয়েক লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষের কবলে পড়েছে। এর আগে চলতি বছরের জুনে জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা কার্যক্রম সমন্বয় সংস্থার (ইউএনওসিএইচএ) প্রধান মার্ক লোকক বলেন, দুর্ভিক্ষ আরও প্রকোট আকার ধারণ করতে পারে। ছড়িয়ে পড়তে পারে পার্শ্ববর্তী আমহারা ও আফার এলাকায়। এমন পরিস্থিতিতে সেখানে শিগগিরই মানবিক সাহায্য পাঠানোর আহ্বান জানাচ্ছি।

২০১৮ সালে শান্তিতে নোবেলজয়ী আবি আহমেদ ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হন। মূলত এর আগ পর্যন্ত অঞ্চলটির রাজনীতির নিয়ন্ত্রণ ছিল টাইগ্রে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্টের (টিপিএলএফ) হাতে। সংগঠনটি ১৯৯১ সালে সামরিক সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করে। যদিও ২০২০ সালে ইথিওপিয়ার সামরিক বাহিনী এবং টিপিএলএফ-এর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ ঘটে। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত অঞ্চলটিতে বিশৃঙ্খলা বিরাজ করছে।

আরও পড়ুন : সৌদিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল হুথিরা

এ দিকে লে. জেনারেল দেবেলে অভিযোগ করেছেন টিপিএলএফ ইথিওপিয়াকে ভাঙার চেষ্টা করছে। তিনি আরও বলেন, বিদ্রোহীরা টাইগ্রে এবং আমহারার সীমান্তবর্তী হুমেরা অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণের চেষ্টা করছে। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে টিপিএলএফ কোনো ধরনের মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

ওডি/কেএইচআর