আন্তর্জাতিক ডেস্ক
দীর্ঘ ২০ বছরের যুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে গত সোমবার (৩০ আগস্ট) মধ্যরাতে মার্কিন সেনাবাহিনীর শেষ উদ্ধারকারী বিমান রাজধানী কাবুলের মাটি ছেড়ে আকাশে উড়ে যায়। এবার আফগানিস্তানের মাটি ছেড়ে যাওয়া শেষ মার্কিন সেনা ছিলেন মেজর জেনারেল ক্রিস ডোনাহু।
বিষয়টি নিয়ে এরই মধ্যে টুইট করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দফতর (পেন্টাগন)। সেখানে লেখা হয়, আফগানিস্তান ত্যাগ করা সর্বশেষ মার্কিন সৈনিকের নাম মেজর জেনারেল ক্রিস ডোনাহু। কাবুলে মার্কিন মিশনের সমাপ্তি ঘটিয়ে তিনি ৩০ আগস্ট সি-১৭ বিমানে চেপে বসেন।
এ দিকে মধ্যরাতে মার্কিন সৈন্যদের শেষ বিমান কাবুল ত্যাগের পরপরই গুলির শব্দে কেঁপে ওঠে আফগানিস্তানের রাজধানীসহ আশপাশের বিভিন্ন অঞ্চল। যদিও এবার সেটা কোনো হামলা কিংবা বিস্ফোরণের শব্দ ছিল না। তালিবান যোদ্ধাদের উল্লাসের বহিঃপ্রকাশ ছিল এটি।
অপর দিকে যুক্তরাষ্ট্রের শেষ বিমান কাবুলের মাটি ছাড়তেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন একটি টুইট করেছেন। সেখানে তিনি দাবি করেন, আমাদের সেনাবাহিনী গত ১৭ দিনে আমেরিকার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এয়ারলিফ্ট সম্পন্ন করেছে। তুলনাহীন সাহস, পেশাদারিত্ব এবং সঙ্কল্পের সঙ্গে তারা কাজটি সমাপ্ত করেছে। এর মাধ্যমে আফগানিস্তানে দীর্ঘ ২০ বছরের সেনা-অবস্থানের অবসান ঘটল।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মিডিয়ার খবরে জানা যায়, আফগানিস্তানে নিযুক্ত প্রায় ছয় হাজার মার্কিন সেনাকে ৩০ আগস্ট রাতের মধ্যে সরিয়ে নেয় আমেরিকা। যদিও বিবৃতির মাধ্যমে মার্কিন ডিফেন্স সেক্রেটারি লয়েড অস্টিন দাবি করেছেন, বিগত কয়েকদিনে মার্কিন সামরিক বিমান প্রায় এক লাখ ২৩ হাজার লোককে কাবুল থেকে সরিয়ে নিরাপদ স্থানে নিয়ে গিয়েছে। উদ্ধারকৃত ব্যক্তিদের মধ্যে অধিকাংশ আফগান নাগরিক।
আরও পড়ুন : ইয়েমেনে হুথি হামলায় নিহত ৩০
উল্লেখ্য, আফগানিস্তানে গত ২০ বছরের যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের দুই হাজার ৪৬১ জন সৈন্য প্রাণ হারিয়েছেন বলে পেন্টাগন সূত্রে জানানো হয়েছে। এর মধ্যে সম্প্রতি কাবুল বিমানবন্দরে এক আত্মঘাতী বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় মার্কিন সেনাবাহিনীর ১৩ সদস্যের। তাছাড়া প্রায় ১০ হাজারের অধিক সেনা গেল ২০ বছরের সংঘাতে আহত হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন।
ওডি/কেএইচআর
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড