আন্তর্জাতিক ডেস্ক
দীর্ঘদিন যাবত বিদ্যমান পারিবারিক দ্বন্দ্ব মিটিয়ে সিংহাসনের সাবেক উত্তরসূরি ও সৎভাই প্রিন্স হামজা বিন হুসেইনকে সঙ্গে নিয়ে প্রথমবারের মতো জনসম্মুখে আসলেন জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ। স্বাধীনতার শতবর্ষপূর্তিতে রবিবার (১১ এপ্রিল) এক অনুষ্ঠানে তাদের এক সঙ্গে দেখা গেছে। খবর রয়টার্সের।
রাষ্ট্রীয় মিডিয়ার খবরে বলা হয়, বাদশাহ ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা অজ্ঞাত সেনাদের স্মৃতিসৌধ ও রাজপরিবারের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
সোমবার (১২ এপ্রিল) বাদশাহ আবদুল্লাহর প্রতি আনুগত্য স্বীকার করে নেন রাজপুত্র হামজা। তার বিরুদ্ধে জর্ডানের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা হুমকিতে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছিল। যদিও হামজা সেই অভিযোগ অস্বীকার করেন।
বুধবার (৭ এপ্রিল) বিবৃতির মাধ্যমে সৌদি বাদশাহ বলেন, রাষ্ট্রদ্রোহের ইতি ঘটেছে। হামজা আমার তত্ত্বাবধানে তার বাড়িতেই আছেন। এই ষড়যন্ত্র সবচেয়ে বেশি যন্ত্রণাদায়ক ছিল। কারণ এটা রাজপরিবারের ভেতর ও বাইরে থেকে হয়েছে।
গত সপ্তাহে হামজাকে হুশিয়ারি করে দিয়েছিল সেনাবাহিনী। সরকারের অভিযোগ, জর্ডানকে অস্থিতিশীল করতে বিদেশিদের চেষ্টায় হামজার যোগসাজশ ছিল।
সিংহাসনের উত্তরসূরি হামজার হওয়ার কথা থাকলেও ২০০৪ সালে তাকে বাদ দিয়ে নিজের ছেলেকে নিয়োগ দেন বাদশাহ আবদুল্লাহ।
ইসরায়েলের সাথে ১৯৯৪ সালে স্বাক্ষরিত একটি শান্তিচুক্তির প্রচণ্ড সমালোচনা হয়েছিল জর্ডানে, যদিও এর ফলে কিছুটা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা তৈরি হয়।
জর্ডানে প্রাকৃতিক সম্পদ খুব বেশি নেই। এছাড়াও ইরাক ও সিরিয়া থেকে যাওয়া প্রচুর সংখ্যক শরণার্থী সামাল দিতে গিয়েও দেশটিকে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
করোনা ভাইরাস মহামারির কারণে জর্ডানের পর্যটন শিল্পও আপাতত প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে যার প্রভাব পড়েছে দেশটির দুর্বল অর্থনীতির ওপর। সরকারের নানা অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভও বেড়েছে।
আরও পড়ুন : এবার পারমাণবিক কেন্দ্রে সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ ইরানের
ওই অঞ্চলের সরকারগুলো বেশ ভাল করেই জানে যে জর্ডানে রাজতন্ত্রের পতন ঘটলে তার বিপদজনক প্রভাব পড়বে আশেপাশের দেশগুলোতেও। এর ফলে প্রতিবেশী দেশগুলো খুব দ্রুতই বাদশাহ আব্দুল্লাহর প্রতি সমর্থনের কথা ঘোষণা করেছে।
ওডি/কেএইচআর
সম্পাদক: মো. তাজবীর হোসাইন
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড