আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ভারতের আসাম রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে একটি বুথে মোট নিবন্ধিত ভোটার ছিলেন ৯০ জন। যদিও সেখানে ভোট পড়েছে ১৮১টি। রাজ্যের দিমা হাসাও জেলায় গত ১ এপ্রিল দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে ঘটনাটি ঘটনার পর ওই নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছয় কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ।
জেলার হাফলং নির্বাচনি এলাকায় বুথটি অবস্থিত। এটি মূল ভোটকেন্দ্রের সহায়ক একটি বুথ ছিল।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, ভোট কারচুপির ঘটনা প্রকাশ্যে এলে তদন্তে নামে নির্বাচন কমিশন। প্রাথমিক তদন্তে পোলিং অফিসাররা দোষ স্বীকার করে নেন।
নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বিবৃতিতে বলা হয়, মূল বুথের পাশাপাশি সহায়ক বুথেও ভোট গণনা হওয়ায় এই ঘটনা ঘটেছে।
ভারতে করোনা মহামারির সময় অনুষ্ঠিত নির্বাচনগুলোয় যেসব কেন্দ্রে ভোটার বেশি সেখানে মূল বুথের পাশাপাশি সহায়ক বুথ চালুর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যাতে ভোটাররা স্বাস্থ্যবিধি মেনে দূরত্ব বজায় রেখে ভোট দিতে পারেন। কিন্তু আসামের ওই কেন্দ্রে ভোটার কম ছিল। তাই সহায়ক বুথের প্রয়োজন ছিল না। তার পরও সহায়ক বুথ চালু করা হয়েছিল।
এই ঘটনার পর এই বুথে পুনরায় নির্বাচনের কথা ভাবা হচ্ছে। তবে এই বিষয়ে এখনো কোনো সরকারি আদেশ জারি হয়নি। এই আসনে ২০১৬ সালের নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী বীর ভদ্র বিজয়ী হয়েছিলেন।
এর আগে প্রথম দফার ভোট শেষে আসামের করিমগঞ্জ জেলার রাতাবাড়ি আসনে বিজেপি প্রার্থীর গাড়ি থেকে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) উদ্ধার হয়। ওই ঘটনায় বরখাস্ত করা হয় চার নির্বাচনি কর্মকর্তাকে। ওই আসনে পুনরায় ভোটগ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
আরও পড়ুন : আসাম-পশ্চিমবঙ্গে নিশ্চিত জয়ের দাবি অমিত শাহের
উল্লেখ্য, ভারতের দ্বিতীয় দফার বিধানসভা নির্বাচনের ফল আগামী ২ মে ঘোষণা হতে পারে।
ওডি/কেএইচআর
সম্পাদক: মো: তাজবীর হোসাইন
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118241, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড