আন্তর্জাতিক ডেস্ক
তৃতীয় দফায় দেশজুড়ে লকডাউন জারি করেছে ফ্রান্স। দেশটিতে দৈনিক সংক্রমণ বাড়তে থাকায় হাসপাতালে রোগীর চাপ বেড়ে গেছে।
ইতোমধ্যেই আগামী চার সপ্তাহের জন্য সেখানকার সব স্কুল এবং অনাবশ্যক দোকান-পাট বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া সন্ধ্যা ৭টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়েছে।
গত শুক্রবার (২ এপ্রিল) দেশটিতে এক লাফেই ইন্টেন্সিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) গুরুতর রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। করোনায় আক্রান্ত রোগীদের জন্য হাসপাতালে আরও বেশি শয্যার ব্যবস্থা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো।
দেশটিতে বর্তমানে আইসিইউতে ভর্তি রয়েছে প্রায় ৫ হাজার মানুষ। শুক্রবার দেশটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৪৬ হাজার ৬৭৭ জন। অপর দিকে মারা গেছে ৩০৪ জন।
শনিবার (৩ এপ্রিল) থেকেই দেশটিতে লকডাউন জারি রয়েছে। মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) থেকে লোকজনকে নিজের বাড়ি থেকে ১০ কিলোমিটার দূরের কোথাও ভ্রমণ করতে হলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় কারণ দেখাতে হবে।
প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো আশা প্রকাশ করেছেন যে, আরও একদিন লকডাউন জারির আগেই হয়তো করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।
এ দিকে জার্মানির প্রেসিডেন্ট ফ্রাংক ওয়াল্টার স্টেইনমিয়ার লোকজনকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন এবং তাদেরকে দ্রুত ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে বলেছেন।
শনিবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে। ফলে নতুন করে বিধি-নিষেধ আরোপ করতে বাধ্য হচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
গত মাসে জার্মান কর্মকর্তারা ঘোষণা করেন যে, ইস্টার সানডের আগেই কঠোর লকডাউন ঘোষণা জারি করা হবে। শনিবার থেকে ইতালিতেও তিন দিনের লকডাউন জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : শরণার্থী ইস্যুতে ফের মুখোমুখি তুরস্ক-গ্রিস
যেসব এলাকায় সংক্রমণ বেশি সেগুলোকে রেড জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। দেশটিতে প্রতিদিনই প্রায় ২০ হাজার মানুষ নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে। সেখানে অপ্রয়োজনীয় চলাফেরায় নিষেধাজ্ঞা আনা হয়েছে। তবে চার্চ খোলা রাখা হয়েছে।
ওডি/কেএইচআর
সম্পাদক: মো: তাজবীর হোসাইন
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118241, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড