• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৬ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

ভারতীয় পুরুষের দৃষ্টিতে নারীরা মানুষ নয়, কেবলই ভোগ্যপণ্য!

দিল্লীতে ধর্ষিত ৭ বছরের শিশুর জীবন সংকটপূর্ণ

  অধিকার ডেস্ক    ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৮:৩১

৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণ।
বিশ্বে ধর্ষণের তালিকায় শীর্ষে থাকা ভারতে ৭ বছরের শিশুরাও হচ্ছে ধর্ষিত, করা হচ্ছে পাশবিক অত্যাচার। ছবি : সিএনএন।

দিল্লীর সীমাপুরি পার্কে সোমবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে ২১ বছর বয়সী প্রতিবেশি চাচা ৭ বছর বয়সী শিশু মেয়েকে নৃশংসভাবে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পূর্বে শিশুর গোপনাঙ্গে পাইপ প্রবেশ করিয়ে পরে ধর্ষণ করা হয়, বাচ্চাটি বর্তমানে দিল্লীর হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে লড়াই করছে। ‘সিএনএন’।

পাড়ায় এক বিয়ের অনুষ্ঠানে দরিদ্র মা ও তার দুই ভাইবোনের সাথে আসলে, শিশুটিকে চকলেট এবং দশ রুপির প্রতিশ্রুতি দিয়ে পার্কে নিয়ে গিয়ে এমন অকল্পনীয়, পাশবিক অত্যাচার চালায় বর্বর ধর্ষক। গোপনাঙ্গে অত্যধিক রক্তপাত নিয়ে শিশুটি বাড়ি ফিরে এলে, তাকে জরুরি অস্ত্রোপচারের প্রয়োজনে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কয়েক ঘন্টাব্যাপী অস্ত্রোপাচার করা হয়। শিশুটির মা এসময় তার পাশেই ছিল। লাঞ্ছনায় ব্যবহৃত পাইপটি ঠিক কি ধরণের ছিল সে সম্পর্কে চিকিৎসকরা এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি। ‘ডেইলি মেইল’।

দিল্লির পুলিশ বিভাগের ডেপুটি কমিশনার মেঘনা যাদব ‘সিএনএন’কে বলেন, শহরের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জেলার শাহধারা এলাকা থেকে ধর্ষণের অভিযোগে ২১ বছর বয়সী একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর চেয়ে অধিক তথ্য প্রদান করতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন মেঘনা যাদব।

এদিকে দিল্লির কমিশন ফর উইমেনের চেয়ারম্যান স্বোয়াতি মালিওয়াল তার টুইটার একাউন্ট থেকে কয়েকটি ধারাবাহিক টুইটে মেয়েটির করুণ পরিস্থিতি তুলে ধরেন। তার টুইটের বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ধর্ষণের অভয়ারণ্য ভারতের নাগরিকদের মধ্যে তোলপাড় শুরু হয়। তার টুইটের ভাষ্য ছিল, ‘সীমাপুরিতে ২২ বছর বয়সী যুবকের দ্বারা নির্মমভাবে ধর্ষিত ৭ বছর বয়সী বাচ্চাটাকে মাত্রই দেখে আসলাম। সে(ধর্ষক) বাচ্চাটিকে পার্কে নিয়ে যায়, তার গোপনাঙ্গে পাইপ প্রবেশ করানোর পরে তাকে ধর্ষণ করে। মেয়েটির অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক, অবিরত রক্তক্ষরণ হচ্ছে।’

স্বোয়াতি মালিওয়ালের করা টুইট।

তিনি ‘সিএনএন’কে বলেন, ‘আমরা তার পুনর্বাসনের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছি, এটা খুবই দু:খজনক যে দিল্লীতে এমন ধর্ষণের ঘটনা শেষই হচ্ছে না। দিল্লী পুলিশের ভূমিকা খুবই অপ্রতুল।’

বাচ্চা মেয়েটি যে ভয়াবহ যন্ত্রণাদায়ক অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলো তা বর্ণনা করা অসম্ভব। ইতোমধ্যেই অপুষ্টিতে ভোগা শিশুটির জীবনে এখনও দীর্ঘ সংগ্রাম রয়ে গেছে। এই নির্মম ঘটনা ঘটানো অভিযুক্ত ব্যক্তির মৃত্যুদন্ড নিশ্চিত করার জন্য আইনি লড়াইয়ে তাকে সমর্থন করতে যাচ্ছি। ক্ষতিপূরণ আদায়ের আবেদন দাখিল করে তাকে পুনর্বাসনের সব প্রচেষ্টা করবে বলে জানান, স্বোয়াতি মালিওয়ালি।

মানব-মানবীর সম্পর্কে ধর্ষণের ইতিহাস :

নারীর উপর পুরুষের বলপ্রয়োগের চরম রূপ ধর্ষণ, যাতে পুরুষ নারীর সম্মতি ছাড়া তার সাথে সঙ্গমে লিপ্ত হয়। পুরুষ সুবিধার জন্য বা আক্রোশবশত নারীকে খুন করতে পারে- মাঝেমাঝেই করে; কিন্তু খুনের থেকেও মর্মান্তিক ধর্ষণ, কেননা খুন নারীটিকে কলঙ্কিত করে না। ধর্ষণ একান্ত পুরুষের কর্ম; নারীর পক্ষে পুরুষকে খুন করা সম্ভব, কিন্তু ধর্ষণ করা সম্ভব নয়।

ভারতীয় পুরাণে পরাশর কর্তৃক সত্যবতীকে ধর্ষণের উপাখ্যান বিখ্যাত, আর দেবরাজ ইন্দ্র মাঝেমাঝেই স্বর্গমর্ত্য জুড়ে ধর্ষণ করে বেড়াতো। গ্রিক পুরাণ ভ'রেই পাওয়া যায় ধর্ষণ, যাতে প্রধান ধর্ষণকারী দেবরাজ জিউস। গ্রিক পুরাণ জানিয়ে দেয় নারীদেহ পুরুষের কামাক্রমণের চিরকালীন লক্ষ্যবস্তু এবং এতে এমন একটি বাণীও পাওয়া যায় যে আক্রমণ ও অধিকার করা যেতে পারে নারীকে, লুন্ঠন করা যেতে পারে তার দেহ, যদি না সে বের করতে পারে আক্রমণকারীকে প্রতিহত করার কোনো চরম উপায়।

পৃথিবীতে পৌরাণিক কাল আর নেই, দেবতারা আর ধর্ষণ করে না। তবে দেবতাদের স্থান নিয়েছে আজ পুরুষেরা, প্রায় অবাধ ধর্ষণ চলছে আজ পৃথিবী জুড়ে। ধর্ষণ আজ দেখা দিয়েছে মারাত্মক মড়করূপে।

ধর্ষণের যেন স্বর্গরাজ্য ভারত! :

‘থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশন’ এর করা জরিপে শীর্ষে ভারত। ছবি : স্ট্যাতিস্তা।

২৬ জুন ২০১৮ প্রকাশিত ‘থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশন’ নামক একটি প্রতিষ্ঠানের ৫৫০ জন বিশেষজ্ঞের মাধ্যমে পরিচালিত জরিপে ধর্ষণের তালিকায় শীর্ষে উন্নীত হয়েছে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত বলে জানানো হয়। বিশ্বে নারীদের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক দেশ ভারত। নারীদের উপর যৌন নির্যাতন চালানো, বাধ্যতামূলক দাস হিসেবে ব্যবহার করাসহ বিভিন্ন কারণে নারীদের জন্য ভয়ঙ্কর ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় ভারতের অবস্থান এখন সবার উপরে। ‘রয়টার্স’।

দেশটির সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, ২০০৭ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে ভারতে নারী নির্যাতন আগের তুলনায় ৮৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এমনকি এখনও দেশটিতে ধর্ষণের অভিযোগে প্রতি ঘন্টায় চারটি মামলা দায়ের করা হচ্ছে। জরিপ পরিচালনার সময় উত্তরদাতাদের কাছে স্বাস্থ্যসেবা, অর্থনৈতিক সম্পদ, সাংস্কৃতিক ও ঐতিহ্যবাহী রীতিনীতি পালন, মানব পাচার এবং যৌন ও অযৌন সহিংসতার ক্ষেত্রে জাতিসঙ্ঘের সদস্য ১৯৩ টি দেশের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ দেশের নাম জানতে চাওয়া হলে এই ক্যাটাগরিতেও শীর্ষ দেশ হিসেবে ভারতের নাম উঠে আসে। অবশ্য ভারতের নারী ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রণালয় জরিপের ফলাফল নিয়ে কোন ধরণের মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানায়। ‘রয়টার্স’।

গত বছর মেয়েদের উপর হামলায় ভারতে অরাজকতা সৃষ্টি হয়েছিল। সর্বশেষ ২০১২ সালের একটি ধর্ষণের ঘটনায় ভারত ধর্ষণের ভয়াবহ সংকটকে স্পটলাইটে নিয়ে আসে। ছয়জন পুরুষ মিলে ২৩ বছর বয়সী এক নারীকে একটি বাসে তুলে নিয়ে লোহার রড দিয়ে মারধরকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিঙ্গাপুরে নেয়ার পরও মেয়েটি মারা যায়। ওই ঘটনায় চারজনকে ফাঁসি দেয়া হয়, একজন কারাগারে আত্মহত্যা করে।

ভারতে শিশু ধর্ষণের পরিসংখ্যান। ছবি : দ্য হিন্দু।

সম্প্রতি, আট বছর বয়সী একটি মুসলিম মেয়ে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা ঘটেছে, কাতুয়ার বিচ্ছিন্ন হিমালয় জেলার একটি জঙ্গলে মেয়েটির লাশ পাওয়া যায়। চলতি বছর ১২ জানুয়ারি গোচারণের সময় মেয়েটিকে অপহরণ করা হয়েছিল। তিন পুলিশ কর্মকর্তা, সাবেক এক সরকারি কর্মকর্তাসহ মোট ৮ জন হিন্দু পুরুষ মিলে মুসলিম কিশোরীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। হত্যার ৫ দিন পরে মেয়েটির পার্শ্ববর্তী জঙ্গল থেকে উদ্ধার করে স্থানীয় পুলিশ।

এছাড়াও মে মাসে ঝাড়খন্ডের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যের ১৬ বছর বয়সী মেয়েকে গণধর্ষণের প্রাথমিক সন্দেহভাজন একজনকে গ্রেফতার করেছে বলে জানায় পুলিশ। ২০ অভিযুক্তের একজন ছিল আটককৃত ব্যক্তি।

গ্রাম কাউন্সিলের কর্মকর্তারা ধর্ষককে ৫০ হাজার রুপি জরিমানা করলে ধর্ষক ক্ষিপ্ত হয়ে ধর্ষণের শিকার পিতামাতার উপর অমানবিক অত্যাচার করে এবং তাদের ঘরে অগ্নিসংযোগ ঘটিয়ে ধর্ষিত মেয়েটিকে জীবন্ত পুড়িয়ে মেরে ফেলে বলে ‘সিএনএন’কে জানায় স্থানীয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অশোক রাম।

চলতি বছর জুলাই মাসের আরেক মর্মান্তিক ধর্ষণের কথা জানায় পুলিশ, ২০ বছর থেকে ৬০ বছর বয়সী ১৭ পুরুষ মিলে তাদের বিল্ডিং এ কাজ করা ১১ বছরের এক মেয়েকে নেশাচ্ছন্ন করে গণধর্ষণ করে।

জুলাই মাসে বিহার রাজ্যের ১৫ বছর বয়সী শিক্ষার্থীকে তার ৬ মাস কোর্স চলাকালীন সময়ে অধ্যক্ষ, দুই শিক্ষক ও ১৬ জন ছেলে মিলে বার বার ধর্ষণ করেছে বলে জানায় বিহার পুলিশ।

দিল্লীতে ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করার দাবিতে এবং ধর্ষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। ছবি : নিউ ইয়র্ক টাইমস।

একই বছরের জুন মাসে একটা অভিযোগ পাওয়া যায় যেখানে ১৭ বছর বয়সী ধর্ষিতা জানায়, উত্তর প্রদেশের এক বিধায়ক এপ্রিল মাসে টানা ৯ দিন ধরে তাকে ধর্ষণ করেছিল। এই ঘটনার পরে ধর্ষিত মেয়েটি উত্তর প্রদেশ কার্যালয়ের সামনে নিজের শরীরে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলে এক পথিক মেয়েটিকে বাধা দেয়। এই ঘটনায় পরের দিন ধর্ষিতার বাবা নির্মম লাঞ্ছনার শিকার হয়।

এপ্রিল মাসে, ভারতে একটি অস্থায়ী আইন চালু করেছিল যা ধর্ষণ এবং গণধর্ষণের সাথে যুক্তদের মৃত্যুদণ্ডে শাস্তিযোগ্য অপরাধী হিসেবে গণ্য করা হয়। কিন্তু মালিওয়াল টুইটারে বলেন, দিল্লীতে এই আইন বাস্তবায়ন এখনও বহুদূর। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর মতে, ২০১৩ সালে ভারতে প্রায় ৩৯ হাজার ধর্ষণ হয়েছিল, যা ২০১৫ সালের তুলনায় শতকরা ১২ শতাংশ বেশি। এই হিসাবমতে, প্রতি ১৩.৫ মিনিটের মধ্যে ভারতে একটি মেয়ের জীবনে ঘটে যায় ধর্ষণের মতো নির্মম ঘটনা।

২০০৬-২০১৩ সাল পর্যন্ত ভারতে ধর্ষণের তালিকা। ছবি : স্ক্রল ইন।

সাম্প্রতিক শিশু ধর্ষণের এই ঘটনায় স্থানীয় গণমাধ্যম জানায় যে, ২১ বছর বয়সী অভিযুক্ত ধর্ষক তার অপরাধ স্বীকার করেছে এবং তার নিজের পরিবার তাকে অস্বীকার করেছে। তাঁর গর্ভবতী স্ত্রী ‘ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস’কে বলেন, 'তার মদ্যাশক্তি নিয়ে আমাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া চলতো, কিন্তু আমি বিশ্বাসই করতে পারছি না যে, তিনি এমন কিছু করবেন। ধর্ষিত বাচ্চাটিকে পুলিশের অবশ্যই ন্যায়বিচার এনে দেয়া উচিৎ' ডেইলি মেইল’।

ভারতীয় পুরুষের দৃষ্টিতে নারী কি কেবলই ভোগ্যপণ্য, যার ওপর জোর করা তাদের জাতিগত অধিকার হিসেবেই যেন প্রতিষ্ঠিত, শিশু কিংবা বৃদ্ধা কাউকেই তারা ছাড় দেয়না এক্ষেত্রে। নারী পুরুষের পবিত্র সম্পর্কটাকে পুরুষতন্ত্র এমন এক পর্যায়ে নিয়ে গেছে যেখানে দুর্বল নারীকে পুরুষ চোখ হিংস্র পশুর দৃষ্টিতেই দেখে, শিকার হিসেবে লোভাতুর হয়ে।

যে শিশুটির এখন পুতুল খেলার বয়স, মায়ের আঁচল ধরে কিংবা পিতার আঙ্গুল ধরে বেড়ে ওঠার বয়স সেই শিশুটিই দিল্লীর হাসপাতালের বিছানায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। প্রতি মুহুর্তে মরণযন্ত্রণায় কুঁকড়ে যাচ্ছে তার কোমল দেহখানা। নারী-পুরুষকে আলাদা করে চেনার আগেই সে শিকার হলো পাশবিক অত্যাচারের, বেঁচে থাকলে সঙ্গে করে নিয়ে বড় হতে হবে ৭ বছরের শিশুটির এই চরম অভিজ্ঞতার চিহ্ন নিয়েই। শিশুটার স্বপ্নভঙ্গের কথা যেন কবি মুহাম্মদ সাখাওয়াৎ আলম চৌধুরীর ‘ধর্ষিত বারংবার’ কবিতায় তিনি তুলে ধরতে পেরেছেন।

কতই আশা ছিলো মনের গহীনে, রাঙাব জীবন হেসে খেলে। সেই মন গহীনের সুপ্ত স্বপ্ন, আজ জর্জরিত ক্ষত বিক্ষত রক্তাক্ত।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড