আন্তর্জাতিক ডেস্ক
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ইকুয়েডরের পৃথক তিনটি কারাগারে চলমান দাঙ্গায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে কমপক্ষে ৭৯ জনে দাঁড়িয়েছে। কারাগারের সক্রিয় প্রতিদ্বন্দ্বী গ্যাং গ্রুপগুলোর মধ্যে দাঙ্গাটি হয় বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানায়, দাঙ্গার সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কারাগারটির নিয়ন্ত্রণ নিতে গেলে তাদের সঙ্গেও দাঙ্গাকারীদের সংঘর্ষ হয়। এ সময় বন্দিদের অবস্থা জানতে কারাগারের বাইরে সমবেত হন উদ্বিগ্ন অনেক স্বজন।
কর্মকর্তারা বলেন, ওই তিন কারাগারের একটি পশ্চিমাঞ্চলীয় বন্দর নগরী গুয়ায়েকুইলে অবস্থিত। সেখানে নিহত হন ৩৭ জন।
ইকুয়েডরের কারাগারগুলোর ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা সরকারি সংস্থা এসএনএআইয়ের পরিচালক এডমান্ডো মোনকেও বলেন, দক্ষিণাঞ্চলীয় কুয়েনসা এলাকার কারাগারে নিহত হন আরও ৩৪ জন। এছাড়া বাকি আটজন নিহত হন মধ্যাঞ্চলীয় লাটাকুংগার একটি কারাগারে।
মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) টেলিভিশনের ফুটেজে দেখা গেছে, কিছু বন্দি উঁচু দেয়াল থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ছে এবং অন্যরা কারাগারের দরজা ভেঙে বের হতে চেষ্টা করছে কিন্তু পুলিশ এবং সামরিক বাহিনী তাদের থামিয়ে দেয়।
আরও পড়ুন : ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে ৪১ জনের প্রাণহানি
এসএনএআই জানিয়েছে, দাঙ্গার সময় নিহতরা সবাই বন্দি ছিল। সংস্থাটি একটি বিবৃতিতে বলেছে, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
দেশটির পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) গুয়ায়েকুইলের দুটি কারাগারের বন্দিরা লড়াই চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল, পরে সেখানে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট লেনিন মোরেনো বলেছেন, মঙ্গলবার ছিল দেশের জন্য মর্মান্তিক দিন’। তিনি জেল ব্যবস্থাপনায় অতিরিক্ত জনসংখ্যা, সেই সাথে নিরাপত্তার অভাবকে সহিংসতার জন্য দায়ী করেছেন।
তিনি নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন এবং দায়বদ্ধদের বিচারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
আরও পড়ুন : নাইজেরিয়ায় বিস্ফোরণে ১০ জন নিহত
দাঙ্গার ঘটনায় প্রেসিডেন্ট লেনিন মোরেনো টুইটারে ওই দাঙ্গাকে অপরাধী সংগঠনগুলোর সদস্যদের সহিংসতা বলে আখ্যায়িত করেন।
সম্পাদক: মো: তাজবীর হোসাইন
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118241, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড